
আজিনুর রহমান আজিম, লালমনিরহাট প্রতিনিধি ঃ
সদস্যের কিস্তির টাকা আত্মসাৎ, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে চাকুরি হতে চলতি মাসের ১৪ ফেব্রুয়ারি তারিখ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে বেসরকারি সংস্থা আশা এনজিও’র লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা শাখা ব্যবস্থাপক মাহাবুব আলমকে(পরিচিতি নম্বর-৯৫৯৫)।
বর্তমানে ওই শাখার ভারপ্রাপ্ত শাখা ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করছেন সহকারী শাখা ব্যবস্থাপক শ্যামল অধিকারী।
জানা গেছে, ওই শাখা ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে আশার রংপুর জোনাল ব্যবস্থাপক আবেদ আলীর নির্দেশে লালমনিরহাট জেলা শাখা ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলাম ও লালমনিরহাট সদর আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মোখলেছুর রহমানের নেতৃত্বে দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রথম দফায় তদন্ত করেন। তদন্তে প্রাথমিকভাবে জুঁই ও মধুমতি সমিতির দু’জন সদস্যের টাকা জমা না করে হস্ত মজুদের প্রমাণ পায় তদন্ত কমিটি।
এ ঘটনায় লালমনিরহাট শাখা ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলাম সংস্থার বিধি মোতাবেক শাখা ব্যবস্থাপক মাহবুব আলমকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে চিঠি পাঠালে ১৪ ফেব্রুয়ারি মাহবুব আলমের বরখাস্ত আদেশ কার্যকর করা হয়।
আশা এনজিওর লালমনিরহাট জেলা শাখা ব্যবস্থাপক(ডিএম) আমিনুল ইসলাম বরখাস্তের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘বাউরা শাখার অধীনে ‘জুঁই’ সমিতির আমেনা বেগম ও ‘মধুমতি’ সমিতির মকিমা বেগম নামের দুই সদস্যের আদায়কৃত কিস্তির টাকা সংস্থার তহবিলে জমা না করে শাখা ব্যবস্থাপক মাহবুব আলম হস্তমজুদ করে আত্মসাৎ করেছেন। তদন্তকালে বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সংস্থার বিধি মোতাবেক সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।’ এছাড়াও ওই শাখার অভ্যন্তরীণ কয়েকটি অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রাপ্ত অভিযোগ তদন্তের জন্য আশার রংপুর জোনাল ব্যবস্থাপক আবেদ আলী আরো তদন্ত কমিটি গঠনের ব্যবস্থা নিয়েছেন। ওই তদন্ত কমিটি অভিযোগগুলো তদন্ত করবেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংস্থার বিধি-বিধান মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এ ব্যাপারে, মঙ্গলবার(১৬ ফেব্রুয়ারী) আশা’র রংপুর জোনাল ব্যবস্থাপক আবেদ আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী লালমনিরহাট জেলা শাখা ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলাম বাউরা শাখা ব্যবস্থাপক মাহবুব আলমের বিরুদ্ধে প্রথম দফায় তদন্তে অনিয়মের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়ায় সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছেন।’