আব্দুল্লাহ আল মামুন,ঝিনাইদহ॥ হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজার আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। পূজাকে কেন্দ্র করে এখন হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিটি ঘরে ঘরে আনন্দ উৎসব পরিলক্ষিত হচ্ছে। দূর্গা পূজার প্রতিমা তৈরিতে রাত-দিন ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। ঝিনাইদহের ৬ উপজেলায় এবার ৪০৮টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে এসব মন্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। এখন রংসহ সাজ সজ্জার কাজে ব্যস্ত রয়েছেন প্রতিমা শিল্পীরা। চলতি বছর মন্ডপে গুলিতে পুলিশ, আনসার ভিডিপি ও ভিলেজ ডিফেন্স পার্টির সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান।
কারিগর সাধন জানান, রং তুলির কাজ চলছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই মন্দির কমিটির কাছে প্রতিমা বুঝিয়ে দিতে হবে। মন্দিরের প্রতিমা তৈরিতে প্রকার ভেদে ২৫ হাজার থেকে লাখ টাকার উর্ধ্বে নিচ্ছেন কারিগরা।এক এক জন কারিগর ৫ থেকে ৬ টি মন্দিরের প্রতিমা তৈরি করছেন।
ঝিনাইদহ জেলা পুজা উৎযাপন পরিষদ সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাস জানান, আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে দূর্গা পূজার মুল আনুষ্ঠানিকতা। দূর্গা পূজার ঝিনাইদহে পুরোদমে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। চলতি বছর ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় ৯১ টি, শৈলকুপায় ১১৪ টি, হরিণাকুন্ডেু ২৬টি, কালীগঞ্জে ৯৫ টি, কোটচাঁদপুরে ৪৬ টি ও মহেশপুর উপজেলার ৩৬ মন্ডপে শারদীয় দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এবছর শৈলকুপা উপজেলায় সর্বোচ্চ ১১৪ টি ও হরিণাকুন্ডেু সর্বনিন্ম ২৬টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি জানান। ২০১৬ সালে জেলায় ৩৮০টি ও ২০১৫ সালে ৩৯১টি পুজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, ধর্মীয় উৎসব দূর্গা পূজাকে ঘিরে সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শারদীয় দুর্গা পূজায় আইন শৃংখলা রক্ষার কাজে পুলিশ, র্যাব, সাদাপোশাক ও আনসারসহ ভিলেজ ডিফেন্স পার্টির সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন। জেলায় ৩০০০ পুলিশ ও আনসার মোতায়েন করা হবে বলে জানান।