[english_date]

ঝিনাইদহের বংশ পরস্পরায় আঙ্গুল বিহীন পরিবারের দুঃসহ যন্ত্রনা !

জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ কালীগঞ্জ শহরের আড়পাড়ার ঘিঞ্জি পল্লীতে ওদের বসবাস। মাথা গোজার জন্য নিজস্ব কোন জমি নেই। সরকারী খাস জমিতে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে বসবাস করেন আঙ্গুল বিহীন খোয়াজ উদ্দীন। আমি যখন ওই পল্লীতে যায় তখন, মেয়ে সাবিনা খাতুন প্রচন্ড গরমে ফ্যানের বাতাস খেতে গেছে পাশের বাড়িতে।

ঘরে তাদের বিদ্যুতও নেই। দারিদ্রতার সব চিহ্ন লেগে আছে দিন মজুর খোয়াজ উদ্দীনের বাড়িতে। ওই পরিবারে কেবল স্ত্রী রিজিয়াই সুস্থ সবল। কিন্তু স্বামী খোয়াজ ও তার দুই সন্তানের হাত-পায়ে কোন আঙ্গুল নেই। এই আঙ্গুল বিহীন অবস্থায় ইন্টারমিডিয়েট পড়ছেন তার মেয়ে সাবিনা খাতুন। আর ছেলে মাসুদ হোসেন মুসা অভাবের সংসারে পিতাকে সাহায্য করতে কালীগঞ্জ শহরের ফারুক লাইব্রেরীতে কাজ করেন।

গৃহকর্তা খোয়াজ উদ্দীনও শ্রমিকের কাজ করেন খুব কষ্ট করে। পরের বাড়িতে ঝি এর কাজ করে সংসারের হাল ধরেছেন স্ত্রী রিজিয়া। তাদের পরিবারের একটি গ্রুপ ছবি তোলার জন্য আড়পাড়ার দরগা পল্লীতে যাওয়া। কিন্তু কলেজ ছাত্রী সাবিনা কিছুটা অভিমানের সুরে জানালেন এ যাবত বহু ছবি তুলেছি। কোন সাহায্য সহায়তা আসে না। কেও একটি চাকরীও দেয় না। তাই আর ছবি দিতে পারবো না।

এখানে যে গ্রুপ ছবিটি ব্যবহার হয়েছে সেটা সাত বছর আগের ফাইল ছবি। সাবিনা ও তার পিতা খোয়াজ উদ্দীন প্রতিবন্ধি ভাতা পাচ্ছেন। পান না কেবল ছেলে মাসুদ। মাসুদের বয়স এই আঠারো বছর চলছে। প্রতিবন্ধি ভাতায় পরিবারটির সংসার চলে না। আঙ্গুল বিহীন ওই পরিবারের একটি সরকারী চাকরী খুব বেশি প্রয়োজন।

প্রতিবন্ধি কোটায় কোন সহৃদয়বান ব্যক্তি তাদের একটি চাকরী দিতে পারেন। সাবিনা খাতুন মেট্রিক ও ছেলে মাসুদ অষ্টম শ্রেনী পাশ। বংশ পরস্পরায় এই আঙ্গুল বিহীন প্রজন্মের রহস্য ভেদ কেও জানে না। তবে সাবিনা ও মাসুদের মা রিজিয়া জানালেন তার শ্বশুরসহ উর্ধ্বতন সব পুর্ব পুরুষের হাত পায়ে কোন আঙ্গুল ছিল না। সেই থেকে অভিশপ্ত জীবন বয়ে বেড়াচ্ছেন পরিবারটি। চাকরী বা কেও আর্থিক সহায়তা করতে চাইলে ওই পরিবারের 01852-889903 নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ