আব্দুল্লাহ আল মামুন,ঝিনাইদহ॥
ঝিনাইদহের কিন্ডারগার্ডেনের এসোসিয়েশনের কমিটির কারণে ভোগান্তিতে শিশু শিক্ষার্থীরা । ফলে একই দিনে, একই সময়ে ও একই প্রতিষ্ঠানে সরকারী স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর ভর্তি পরীক্ষার মডেল টেষ্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে করে শিশু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা নাজেহাল হয়েছে। নতুন কমিটি পরীক্ষার দায়িত্বে ছিলেন এজে ইন্টারন্যাশনালের গোলাম মোস্তফা চঞ্চল, ইডেন একাডেমীর বজলুর রহমান, স্বাবলম্বী বিদ্যা নিকেতনের মোঃ শফি উদ্দীন ও নবগঙ্গা ন্যাশনালের শরিফুল ইসলাম। পুরাতন কমিটির পরীক্ষার দায়িত্বে ছিলেন এফএম ইন্টারন্যাশনালের জাদিুল ইসলাম ও টুডেস ইংলিশ ভার্সনের কুদরতি খোদা নিউটন। অভিভাবকদের অভিযোগ এদের উপর প্রশাসনের নিয়ন্ত্রন থাকলে ইচ্ছামত কাজ করতে পারেনা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শুক্রবার সকালে সরকারী স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর ভর্তি পরীক্ষার মডেল টেষ্ট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্ডেন এসোসিয়েশনের ঝিনাইদহ জেলা শাখার দুই কমিটি মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। একপাশে আগের কমিটির পরীক্ষা ও অপরপাশে নতুন কমিটি পরীক্ষা নিয়েছে। রীতিমত শিশু শিক্ষার্থীদেরকে অস্থির করে তুলেছে। কিন্ডারগার্ডেন এসোসিয়েশনের কাছে অভিভাবকরা অসহায় হয়ে পড়েছে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরও কোন কোন কক্ষে গিয়ে দেখা যায় অনেক শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে। অভিভাবকদের যেন কিছু করার নেই তারা যা বলবে সেটাই হবে।
অভিভাবকদের অভিযোগ, শুক্রবার সকাল ৯ টার সময় ঝিনাইদহ ওয়াজির আলী স্কুল এ্যান্ড কলেজে তৃতীয় শ্রেণীর ভর্তি পরীক্ষার মডেল টেষ্ট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সেই মোতাবেক আমরা ৮ টার পরে স্কুলে যায়। এরপর গ্রিলের বাহিরে রুমের প্লান অনুযায়ী রোল নং দেওয়া আছে কিন্তু রুম খোলার পর দেখতে পায় বিশৃংখলা অবস্থা। বেঞ্চে কোন রোল নং নেই। এরপর জিঞ্জাসা করা হলে তারা জানান পাশে খোজনিন। খোজ নেওয়ার পর দেখা যায় অপর একটি প্লানে স্কুলের নাম আছে কিন্তু রোল নাম্বার নইে। ভিতরে গিয়ে দেখা গেল পিছনে রোল নং আছে। আবার কোন অভিভাবক তার সন্তানকে যে কোন একটি রুমে বসিয়ে পরীক্ষা ১৫ মিনিট অতিবাহিত হওয়ার পর জানতে পারে তার সন্তান অন্যত্রে প্রশ্নে পরীক্ষা দিচ্ছে। সন্তানকে নিয়ে ঠিক যায়গায় বসিয়ে দেন। কর্তপক্ষের নিকট এসব বিষয়ে অভিভাবকরা জানতে চাইলে তারা বলেন আপনার সন্তান যে প্রতিষ্টান থেকে পরীক্ষা দিচ্ছে সেখানে যোগাযোগ করুন। নতুন কমিটির পরীক্ষা কর্তৃপক্ষের নিটক অভিযোগ করলে তিনি গরমের সাথে উচ্চস্বরে বলেন আমাদের কিছু করার নেই। আপনারা পারলে ডিসির নিকট বলে পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ করে দিন। অপর একজন অভিভাবক জানান পুরাতন কমিটির পরীক্ষা কর্র্র্তৃপক্ষের নিটক বিশৃংখলা বিষয়টি জানানো হলে তিনি বলেন আমরা আগে থেকেই পরীক্ষার তারিখ দিয়ে এসেছি, তারপরও নতুন কমিটির দুইজন মিলে পরীক্ষা নিয়েছে। তারা আরো অভিযোগ করেন এদের উপর প্রশাসনের নিয়ন্ত্রন থাকলে ইচ্ছামত কাজ করতে পারেনা।
তবে এ বিষয়ে নতুন কমিটি এবং পুরাতন কমিটির পরীক্ষা কর্তৃপক্ষের নিকট জানতে চাওয়া হলে তারা বলেন সব ঠিক হয়ে যাবে একটু ধৈর্য্য ধরেন।
