নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবি, সশস্ত্র লড়াইয়ের জন্য এখন AK-47 এবং AK- 22’র মতো ভারি অস্ত্র সংগ্রহের চেষ্টা চালাচ্ছে। এক্ষেত্রে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী সংগঠনের পাশাপাশি জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে তারা।
তাদের এ কাজে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে ফারদিন নামে শীর্ষ এক জঙ্গি নেতা। আটককৃত জেএমবি সদস্যদের কাছ থেকে এ ধরনের বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়ার পর নতুন করে অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে পুলিশ।
মিয়ানমারের রোহিঙ্গাভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো বাংলাদেশের সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর কাছে ভারী অস্ত্র বিক্রি করে, এ অভিযোগ নতুন নয়। তবে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনগুলো এবার অস্ত্র কিনতে তাদের সাথে যোগাযোগ শুরু করেছে বলে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর নগরীর সদরঘাট এলাকায় একটি ছিনতাই ঘটনায় উদ্ধারকৃত দুইটি AK- 22 রাইফেলের উৎসের সন্ধান করতে গিয়ে নতুন তথ্য বেরিয়ে আসে। পরবর্তীতে কর্ণফুলী থানার খোয়াজনগর এলাকা থেকে জেএমবি’র সামরিক প্রধানসহ ৫ সদস্যকে আটকের পর বের হয়ে আসে পুরো রহস্য। কয়েক মাস আগে চট্টগ্রাম কলেজে শিবিরের কাছ থেকে উদ্ধারকৃত অস্ত্রের সাথে জেএমবি’র অস্ত্রের যোগসূত্রও পেয়েছে পুলিশ।
চট্টগ্রামে জেএমবি’কে সংগঠিত করার পাশাপাশি অস্ত্র সংগ্রহ এবং অর্থের যোগানদাতা হিসেবে ফারদিন নামে এক যুবকের সন্ধানে নেমেছে পুলিশ প্রশাসন।
এ অবস্থায় জঙ্গিদের প্রতিরোধে নতুন করে অভিযানের কৌশল নির্ধারণ করতে যাচ্ছে পুলিশ।
তবে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কর্ণফুলী এলাকা থেকে আটক হওয়া ৪ জেএমবি সদস্যদের কাছ ফারদিনের ব্যাপারে সুস্পষ্ট ধারণা নিতে গোয়েন্দা কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাদের।