হীরের খনির খাদগহিনে পাওয়া
কালো
ক্রমশ কালো
কালো পিঁপড়ের পিলপিল, কালো আমাদের কথা
কথাগুলো
হীরের খনির খাদগহিনে পাওয়া ভয়ংকর বোমা
ভৌগোলিক সীমা পেরিয়ে বিষ ঢালে তাহাদের লোভী কানে
নাইজেরিয়ান শিশুটির মতো
ট্যারাচোখে তাকায়
হাড় জিরজিরে
ভবিষ্যৎ
অথবা সার্বভৌম ভূমির সম্ভাবনা নিয়ে
মানুষে মানুষে বুনোফুলের সশস্ত্র রেণু
স্পোরগুলো গহিন জঙ্গলে একেকটি খুদে গেরিলা
অতঃপর একটি মুক্তিকামী জাতির অগ্র-বাহিনী
আর আমাদের সেনাগণ
জাতিসংঘের কনডম হয়ে গিলে সঙ্গম লাভা
আহা! ডগমগ আনন্দ। আহা…
পলি ও শস্য বিষয়ক
প্রাচীন ব্রহ্মপুত্রের একটি শাখা আমি
প্রতি বর্ষায় তোর বুকে এসে মাথা পেতে শুই
আমার কালো জল
কালো কালো চুল
রাত্রি, আজ খেয়ালে ঘোলা হব
তোর ঢেউ ঢেউ দোলায়
আমি তোকে পলি দেব
তুই কি আমাদের শস্য দিবি না?
কারিগরি
আমি যা বলেছি, সেসবে অনেক বাইপাস রয়েছে। শীতলক্ষ্যার পাড় ধরে একটি সূর্যকে কেবল ডানা মেলতে দেখিয়েছি। দিগন্তে অনেকগুলো সূর্যের শ্লেষ ঝাপসা হয়ে চাঁদের ভেতর ঢুকে যাওয়ার সম্পূর্ণ দৃশ্যটাই উহ্য রেখেছি আগামীর জন্য
আমার মেয়েবন্ধুদের কাছে চাঁদ বহু ব্যবহৃত উপমা হলেও, রেলইয়ার্ডের কোনো গোলগাল জটলায় ওষুধ বিক্রেতার কথার কারিগরিতে তাদের ফেলে দেব না, কথা দিয়েছি
প্রসববেদনা
চায়ের কাপটা হাতে ধরিয়ে দিয়ে ফিরছ কিচেনে
সেখানে তোমার গুরুত্বপূর্ণ প্রাকটিক্যাল ক্লাস
এদিকে চা চিবোতে চিবোতে
প্রসব বেদনায় কাতর একটি চুমোর যন্ত্রণা্রি-একা আমাকে সইতেই হলো…
কোনো বাইপাস নেই
হুটতোলা রিকশার প্যাডেল ঘুরিয়ে ওরা উড়ে উড়ে ঘুরে বেড়ায়। জ্বরে পুড়ে পুড়ে বৃথাই খাক হয়…
-হোক। এই শ্রাবণে আমরা বরং গলিঘিঞ্জি ঘেঁটে-ভিজে ভিজে চরম–শহরের সমস্ত নির্মাণ বরফের মতো গলিয়ে দিতে দিতেই নেতিয়ে পড়ব নদীতে
স্রোত আমাদের যেখানে নিয়ে যায় যাক–ওটা আরেক মোহনা– ইলিশেরাও আসে প্রজননে
কার্টিজ পেপার
জয়তুনের বাগানে আজ কৃষ্ণতিথি–শুক্লতিথির জন্য প্রস্তুতি
রাত্রির ঘরে ছাইভর্তি অ্যাশট্রে–অবিকল মানুষের করোটির মতো। মানুষটি তামাটে বর্ণের। জয়তুনের বাল্যমনে সে ছিল খামারি কিষান–সে ছিল অরুণ–দুরন্ত রোদের বিচিত্র বিচ্ছুরণ
চোখের অ্যাশ-কালার কার্টিজে সে আজ আঁকছে অসংখ্য সকালের জ্যামিতি। তেল-জল-প্রকৃতি, স্পষ্টত প্রতিটি রঙ-ই তার মনে আসছে