
২০১৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর পানির পাম্পের পাইপে পড়ে শিশু জিহাদ। ২৩ ঘণ্টা চেষ্টার পর উদ্ধার হয় সে। তবে জীবিত নয়, মৃত। শিশুটি উদ্ধারে অবহেলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে পরের দিন শিশু অধিকার রক্ষাবিষয়ক সংগঠন চিলড্রেনস চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের (সিসিবি ফাউন্ডেশন) পক্ষে আইনজীবী আবদুল হালিম রিট আবেদনটি করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে জিহাদের পরিবারকে ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর শাজাহানপুরে ওয়াসার পাইপে পড়ে নিহত শিশু জিহাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ এবং সরকারের কোন প্রতিষ্ঠান কত ক্ষতিপূরণ দেবে, তা পূর্ণাঙ্গ রায়ে জানাবেন আদালত।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল হালিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করীম।
স্বরাষ্ট্রসচিব, রেলওয়েসচিব, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক, রেলওয়ের মহাপরিচালক, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেনটেইনেন্স), ওয়াসার চেয়ারম্যান, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
উল্লেখ্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত পানির পাম্পে পড়ে মারা যায় শিশু জিহাদ।