তুমি কিংবা আলো
ফোটনের কণাগুলো রাত করে ফেরে
পেঁচার ধ্যানের চোখে নম্র তারাবাজি
তুমি তো ডাহুক বেশে নীরমহলের ধারে
ঠুকরে যাচ্ছো সময়ের মাছ কালে কালান্তরে
যখন জোয়ার ঘরে জল ও চাঁদের আলো ঢালে
ফোটনেরও ইতস্তত চলেছে পায়চারি
ওজোন ছলকে গিয়ে চৈত্রের রোদ্দুর কথা বলে
তোমাকে উদয়পুরে ভাসতে দেখি তক্ষক আঁচলে
অতিথি
আরশোলাদের বাড়িতে অতিথি, তবে
তাদের রয়েছে সহজ সরল ঘর–
ছোট আরশোলা তোমাকে পরম ভাবে,
তুমি যতো ভাবো আবর্জনার দল।
কতোটা অতিথি কতোটা নিজেই গৃহী,
সব কিছু বুঝি ঘোরগ্রস্তের দিশা,
তোমরা বানাও চারদেয়ালের বাড়ি,
সাজাও যতনে রাতে বাসরের তৃষা।
আমরা যতটা ইচ্ছা পোষণ করি–
কতটুকু আর জীবন চলতে পারে,
বাডিঘর বেঁধে মাটিতে সেঁধিয়ে মরি,
আরশোলাদের বসবাস তবু বাড়ে।
আমরা সকলে আরশোলাদের ঘরে–
ভয়ে মরো যদি আরশোলা উড়ে আসে,
আরশোলা মরে আমাদের বরাভয়ে,
কীটনাশকেরা আমাদেরও মারে শেষে।
পোস্টটি যতজন পড়েছেন : 305