আর্থনিউজ২৪: জিম্বাবুয়েকে ২৪২ রানে টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ। ইমরুল কায়েসের ৭৬ ও নাসির হোসেনের ৪১ রানে ভর করে ২৪১ রান করতে সক্ষম হয়েছে স্বাগতিকরা। সফরকারীদের পক্ষে তিনাসে পানিঙ্গারা ৩টি ও গ্রায়েম ক্রেমার ২টি উইকেট নিয়েছেন।
সোমবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং নেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক এল্টন চিগুম্বুরা।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৩২ রানের মাথায় প্রথম উইকেটের পতন হয় বাংলাদেশের। ব্যক্তিগত ১৯ রানে লুক জংউয়ের বলে উইকেটরক্ষক রেগিস চাকাভার গ্লাভসবন্দি হন তামিম ইকবাল। এরপর ইমরুলের সঙ্গে জুটি গড়েন লিটন দাস। তবে তাদের সেই জুটিও বেশী বড় হয়নি। ব্যক্তিগত ৭ রান করে একাদশ ওভারে ফিরে যান তিন নম্বর ব্যাটসম্যান লিটন দাস। অফ স্টাম্পের বাইরের বল পুল করতে গিয়ে তিনিও ধরা পড়েন চাকাভার গ্লাভসে। দলীয় ৭৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে যায় স্বাগতিকরা। এবার ফিরে যান মাহমুদউল্লাহ। আগের ম্যাচে ৯ রান এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান এবার ফিরেছেন ৪ রান করে। লেগ স্পিনার গ্রায়েম ক্রেমারের বলে চাকাভার গ্লাভসবন্দি হন তিনি।
এরপর ইমরুলের সঙ্গে ৪৮ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেন মুশফিকুর রহিম। তবে গত দিনের মতো ইনিংসটাকে বড় করতে ব্যর্থ হন মুশফিক। ব্যক্তিগত খাতায় ২১ রান যোগ করে গ্রায়েম ক্রেমারের বলে লুক জংউইকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। দলীয় ১৫১ রানের মাথায় ইমরুলও বিদায় নিলে আবারো চাপে পড়ে বাংলাদেশ। শন উইলিয়ামসের আগের বলে এগিয়ে এসে বোলারের মাথার ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন ইমরুল কায়েস। পরের বলে এগিয়ে এসে লং অফ দিয়ে আবার উড়িয়ে সীমানা ছাড়া করতে চেয়েছিলেন তিনি। এবার ফুলটস বলে গ্রায়েম ক্রেমারের হাতে ধরা পড়ে শেষ হয় তার ৭৬ রানের ইনিংসটি। শেষ বেলায় ব্যক্তিগত ৪১ রান করে দলীয় রানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন নাসির হোসেন।
প্রথম ম্যাচে ১৪৪ রানের বড় জয় নিয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। আজ জিতলেই সিরিজ জয় নিশ্চিত হবে তাদের। অন্যদিকে সমতায় ফিরতে মরিয়া সফরকারীরা।