৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

জিভ দেখে ডাক্তার কি বুঝে জেনে নিন

জিভ শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। অথচ এই জিভকে আমরা বেশি গুরুত্ব দেই না। জিভ দেখেই অনেক রোগ নির্ণয় করা সম্ভব।জিভের রং, অবস্থা দেখে বোঝা যায় আপনার শারীরিক অবস্থা। কি, অবাক হয়েছেন? জিভ কীভাবে বলবে আপনার স্বাস্থ্যের কথা! হ্যাঁ, জিভ বলবে আপনি কতোটা সুস্থ। আসুন জেনে নিই জিভ দেখে স্বাস্থ্য সমস্যা জানার উপায়। আর মিলিয়ে নিন আপনি কোনো স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন না তো ?

১।লাল জিভ

লাল জিভ ভিটামিনের অভাব নির্দেশ করে থাকে। শুধু ভিটামিনের অভাব নয় আয়রন, বি১২ এর মত জরুরী উপাদানের অভাবও প্রকাশ করে থাকে। এই সকল ভিটামিনের অভাবে আপনার জিভ খুব মসৃণ হয়ে যায়। এই লাল জিভ জ্বরেরও নির্দেশ করে থাকে।

২।সাদা ছোপ ছোপ দাগ

অনেকের জিভে সাদা সাদা ছোপ ছোপ দাগ পড়ে। এটি মুখের ভিতরে ফাঙ্গাস হওয়ার ইঙ্গিত করে থাকে। যদি এই দাগ বেশি পরিমাণে হলে আপনি মারাত্নক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছেন। দীর্ঘদিন যাবত অ্যান্টিবায়োটিক সেবন, ডায়াবেটিকসের রোগী, হজমের সমস্যা থাকলে অথবা অ্যাজমা থাকলে আপনার জিভে সাদা সাদা ছোপ ছোপ দাগ পড়তে পারে। এটি লিউকোপালকিয়া রোগের লক্ষণ প্রকাশ করে থাকে। এছাড়া এটি দীর্ঘস্থায়ী হলে ওরাল ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

৩। কালো বা খয়েরী দাগ

আপনার জিবে কালো বা খয়েরী দাগ দেখা দিলে আপনার অব্যশই ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। কারণ এটি ক্যান্সার রোগের প্রাথমিক লক্ষণ।

৪। দানাদার জিভ

আপনার জিভে যদি দানার মত ছোট ছোট দানা হয়ে থাকে তবে বুঝতে হবে আপনার শরীরের ফলিক এসিড ও ভিটামিন বি১২ অভাব দেখা দিয়েছে। আর এই কারণে আপনার জিভে ছোট ছোট দানা দেখা দিয়েছে। এছাড়া অনেক বেশি জ্বর থাকলেও জিভ লাল এবং দানাদার হয়ে যেতে পারে।

৫। জিভে ঘা হলে

আমাদের অনেকের জিভে ঘা হয়ে থাকে। প্রথম কয়েকদিন ব্যথা থাকলেও আস্তে আস্তে ব্যথা কমে ঘা ভাল হয়ে যায়। সাধারণত এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে এই ঘা ভাল হয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের ডাক্তার এ্যালান বলেন “যদি কোন প্রকার চিকিৎসা ছাড়া দু সপ্তাহের মধ্যে ঘা ভাল না হয় তবে অব্যশই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে হবে। কারণ ঘা ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ”।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ