জাতীয় পরিচয়পত্রের ভুল সংশোধন করতে সঠিকতা যাচাইয়ের জন্য নির্বাচন কমিশনকে প্রমাণ স্বরূপ বিভিন্ন কাগজপত্র বা দলিলাদি যাচাই করে নিতে হয়। যাদের কাগজপত্র ঠিক থাকে তারা এক দিনেই কাজ শেষ করে যেতে পারেন বলে দাবি করেছেন সংসদ কার্যে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্তমন্ত্রী আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আনিসুল হক জানান, জাতীয় পরিচয়পত্রের ভুল সংশোধনে যেসব নাগরিক সংশোধনের স্বপক্ষে কোনো গ্রহণযোগ্য দলিলাদি দাখিল করতে পারেন না, সেসব ক্ষেত্রে সময় লাগে বা সংশোধন করা সম্ভব হয় না। ওই সব নাগরিক ভোগান্তির অভিযোগ করেন। তাই জাতীয় পরিচয়পত্রের ভুল সংশোধন করতে গিয়ে সাধারণ মানুষের প্রচন্ড ভোগান্তি হচ্ছে- এ অভিযোগ সত্য নয়।
তিনি জানান, ২০০৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৬ লাখ ১৩ হাজার ২৮৯ জন ব্যক্তি তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য আবেদন করেছেন। যা মোট নিবন্ধিত ভোটারের ০ দশমিক ৬১ শতাংশ। এই আবেদনকারীদের মধ্যে মাত্র ২৪ হাজার ৫৩২টি আবেদন করণিক ভুলজনিত, যা মোট ভোটারের ০ দশমিক ২ শতাংশ মাত্র এবং বাকি ৫ লাখ ৮৮ হাজার ৭৫৭টি আবেদনকারীর আবেদন মূলত তথ্য পরিবর্তনজনিত যা ভোটারের ০ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
আনিসুল হক বলেন, বেশির ভাগ আবেদনই জন্ম তারিখ, নিজের নাম, পিতা-মাতার নামের আমূল পরিবর্তনজনিত বিধায় প্রমাণস্বরূপ সংশ্লিষ্ট দলিলাদির প্রয়োজন হয় যারা তা দিতে পারেন না তাদের সিদ্ধান্ত পেতে সময় লাগে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ১০ থেকে ১৫ বছর বয়সও কমবেশি করার দাবি আসে। বর্তমানে মানুষের সুবিধার জন্য স্ব স্ব এলাকার উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন জমা ও সংশোধিত কার্ড প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের কার্যালয়ের ওয়ান স্টপ সার্ভিসেস ছাড়াও প্রতিটি থানা নির্বাচন অফিসে বেশ কিছুদিন থেকে এ সেবা প্রদান শুরু হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, গত ১৫ ডিসেম্বর নতুন জাতীয় বেতন স্কেলের গেজেট জারির কারণে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য ২ লাখ ৬৫ হাজার ১৪৮টি আবেদন জমা পড়েছে। এদের অধিকাংশই বয়স সম্পর্কিত। তারমধ্যে ১ লাখ ২৩ হাজার ৩৩২টি আবেদনের তথ্যাদি ইতোমধ্যেই সংশোধন করে ভোটারদের সংশোধিত জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান করা হয়েছে। বাকিদের অল্প সময়ের মধ্যে দেয়া হবে।