বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিবারের সঙ্গে চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির মিলন মেলা সফলভাবে সম্পূর্ণ হয়েছে। রবিবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে রাজমনি ঈশাখাঁ হোটেলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেছেন চিত্রনায়ক রিয়াজ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রয়াত চিত্রনায়ক জসীমের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সে সময় উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র পরিবারের আহ্বায়ক চিত্রনায়ক ফারুক, হল মালিক সমিতির সভাপতি ইফতেখারউদ্দিন নওশাদ, সাধারণ সম্পাদক শোয়েব আহমেদ, প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু, রাজমনি হোটেলের মালিক মনি সোহেল রানা, আমজাদ হোসেন, আজিজুর রহমান, সোহানুর রহমান সোহান, অঞ্জনা সুলতানা, শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান, সাইমন, অরুণা বিশ্বাসসহ হল মালিক ও চলচ্চিত্র পরিবারের নেতা-কর্মীরা।
মিশা সওদাগর তার বক্তব্যে বলেছেন, ‘আমি মনে করি চলচ্চিত্রের পিতা হলেন প্রযোজকরা। আজ কেউ নেই এখানে। একটি চক্র ষড়যন্ত্র করে দেশের প্রযোজকদের তাড়িয়ে দিয়েছে। অ্যাসোসিয়েশন বন্ধ করে দেয়া, ছবিতে লগ্নি করলেই পাইরেসি করে দেয়া এসব করে প্রযোজক ধ্বংস করা হয়েছে। তাদের ফিরিয়ে আনতে হবে।’
অন্যদিকে প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু বলেন, ‘সিনেমা হল মালিক নেতার প্রতি নয়, ক্ষোভ ছিল সেন্সর বোর্ডের সদস্যের প্রতি। তবে যা হয়ে গেছে, তা তো গেছেই। সবকিছুর জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে ক্ষমা চাই। তিনি (নওশাদ) আমার বড় ভাই। দেখা হলেই বুকে টেনে নেন। তারসঙ্গে এখনো সখ্যতার অভাব নেই। আমরা মিলেমিশে থাকব।’
তিনি আরো বলেন, ‘চলচ্চিত্রের স্বার্থে কোনো কম্প্রোমাইজে যাবো না। আমাদের হল দখল করে সংকটে
ফেলা হচ্ছে। অনেক ভাল সিনেমা হল পলিটিক্সে ক্ষতির মুখে পড়ছে। কি অন্যায় কোটি কোটি টাকা লগ্নি করা প্রযোজকদের! জাজ মাল্টিমিডিয়া অনেকদিন ধরেই চলচ্চিত্রকে নির্যাতন করছে।’
গেল রমজান মাসে অনিয়মের যৌথ প্রযোজনা বন্ধের আন্দোলনে চলচ্চিত্র পরিবারের নেতাকর্মীদের হাতে লাঞ্ছিত হন সিনেমা হল মালিক সমিতির সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ। তবে সেদিনের ঘটনায় তার কোনো ‘ক্ষোভ’ নেই বলে জানান তিনি।
নওশাদ একতাবদ্ধ হয়ে চলচ্চিত্রের সুদিন ফিরিয়ে আনতে আহবান জানিয়ে বলেন, ‘অনেকদিন পর ঢাকা অ্যাটাক ছবিটি হাউজফুল যাচ্ছে। আমরা চাই এভাবে সব ছবি দর্শক জয় করুক। চলচ্চিত্রের প্রবীণ মানুষ ফারুক সাহেব, সোহেল রানা সাহেব আছেন। তাদের মতো তারকা ও নেতাদের হাত ধরে চলচ্চিত্রের সুদিন ফিরে আসুক।
