যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী জন কেরি , যিনি আজ বৃহস্পতিবার তিউনেশিয়া , অস্ট্রিয়া এবং তুরস্ক রওয়ানা হচ্ছেন তাঁর আলোচ্যসূচীর শীর্ষে থাকবে সিরিয়ার রাজনৈতিক বিপর্যয় এবং কথিত ইসলামিক স্টেটের গোলযোগ।
অস্ট্রিয়ায় বিশ্বের শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো সিরিয়ার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে দ্বিতীয় দফা আলোচনায় বসবে । প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা হয়েছিল অক্টোবর মাসের শেষ দিকে। তখন প্রকাশিত বিবৃতিতে ১৭টি শক্তিধর রাষ্ট্র , জাতিসংঘ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ সমাপ্তির লক্ষে কুটনৈতিক প্রয়াস বৃদ্ধির গুরুত্বের ব্যাপারে সহমত পোষণ করে ।
তারা জাতিসংঘ নের্তৃত্বাধীন প্রক্রিয়ার ব্যাপারেও অভিন্ন মত পোষণ করে যার মধ্যে রয়েছে সিরিয়ার সরকার ও মধ্যপন্থি বিরোধীদের মধ্যে আলোচনা এবং সম্ভাব্য অস্ত্র বিরতি।
তবে সিরীয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অবস্থা ঠিক কি হবে সেটি সহ কয়েকটি বিষয়ে বড় রকমের মতভেদ বিরাজ করছে। তবে মধ্য প্রাচ্য বিষয়ক একজন বিশ্লেষক বলছেন যে আসন্ন ভিয়েনা আলোচনায় অগ্রগিত হতে পারে।
কেরীর প্রথম যাত্রা বিরতি তিউনেশিয়ায় , যে দেশটি আরব বসন্তের উত্থানের পর গণতান্ত্রিক সংস্কার সাধনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিপুল প্রশংসা অর্জন করেছে। তবে মার্চ ও জুন মাসে সেখানে সন্ত্রাসী হামলার পর সে দেশের অর্থনীতিতে বিশেষত পর্যটন ক্ষেত্রে প্রতিকুল প্রভাব পড়েছে। আই এস দুটি হামলারই দায় স্বীকার করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও তিউনেশিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় কৌশলগত সংলাপের জন্য কেরি সেখানকার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। কেরী তাঁর ত্রিদেশীয় সফরের শেষ পর্যায় যাবেন আন্তালিয়ায় যেখানে তিনি প্রেসিডেন্ট ওবামর সঙ্গে জি টুয়েন্টি নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন।