বিদেশের মাটিতে বসে ষড়যন্ত্র করে জাতীয় সংলাপ বা সরকার পরিবর্তন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টারস ইউনিটির সাগর রুনী মিলনায়তনে লেখকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মতো চোরাগুপ্তা হামলা চালিয়ে দেশকে অকার্যকর করা যাবে না বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় সংলাপ এভাবে হবে না। সংলাপ করতে হলে পরিবেশ রাখতে হবে। কারা লেখক, পুলিশ, বিদেশি হত্যা করছে? এভাবে কী সংলাপের পরিবেশ হয়? যোগ্যতা, শক্তি, সাহসের প্রমাণ দিতে হয়। সংলাপের জন্য যোগ্যতা, সাহস লাগে। সেটা তারা দেখাতে পেরেছে? তাদের সঙ্গে সংলাপ করবো, তারা কে?’- বলেন সেতুমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, বিদেশের মাটিতে বসে সংলাপ হয় না। যারা সংলাপ চায়, তারা পরিবেশ রাখে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত কথার ঢিল ছুড়ছি। প্রতিনিয়ত শব্দবোমা নিক্ষেপ করছি। এ শব্দবোমা কিন্তু অনেক সময় আত্মঘাতী বোমা। আজকে সবাই ঢিল ছুড়ছেন, কেউ কাছে থেকে, কেউ দূরে থেকে। কেউ আটলান্টিকের কাছ থেকে, কেউ টেমস নদীর পাড় থেকে।’
খালেদা জিয়ার দেশে ফেরায় বিলম্বকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘যাই যাই করে যাওয়া হয় না, আসি আসি করে, আসা হয় না। এখন দেশে একটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন, কবে আসবেন? কিন্তু ঢিল ছোড়া বন্ধ হয়নি। বিদেশের মাটিতে বসে বিক্ষিপ্ত ঢিল ছুড়ে, দেশে কি সরকার পরিবর্তন সম্ভব?’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘এ দেশটা তো আফগানিস্তান, পাকিস্তান নয়। এটা বীরের দেশ। আমরা রক্ত দিয়ে, বিক্রম দিয়ে, বীরত্ব দিয়ে এ দেশকে অর্জন করেছি। আফগানিস্তানের স্বাধীনতার ইতিহাস বীরত্বপূর্ণ নয়। পাকিস্তানও স্বাধীন হয়নি বীরত্বপূর্ণ সংগ্রাম করে, রক্ত দিয়ে। সুতরাং কেউ যদি মনে করেন, চোরাগোপ্তা হামলা করে এ দেশকে পাকিস্তান, আফগানিস্তানের মতো অকার্যকর করবেন, তাহলে তাঁরা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। যাঁরা এমন অপচেষ্টা করবেন, তাঁরা নিজেরাই অকার্যকর হয়ে যাবেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘লাগামছাড়া জিহ্বা নাজুক রাজনীতির মতোই বিপজ্জনক। আমাদের কথা ও আচরণে শুভ বোধের পরিচয় দিতে হবে’।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম, ডিআরইউ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা।