চুল পড়া কিংবা চুলের অন্যান্য সমস্যা নিয়ে আমাদের অনেককেই ভুগতে হয়। বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা করেও উপকার পান না অনেকে। তবে পেয়ারার গুণ অনেক। দাঁতে ব্যথা হোক বা মুখে দুর্গন্ধ, পেয়ারা পাতা ফুটিয়ে সেই পানিতে কুলকুচি করলে এই দুই সমস্যারই সমাধান হয়। শুধু তাই নয় ত্বকের জেল্লা ফেরাতেও কার্যকর পেয়ারা পাতা। কিন্তু জানেন কি, চুল ঝরা কমাতেও সাহায্য করে পেয়ারা পাতার পানি?
পেয়ারা পাতার উপকারিতা
পেয়ারা পাতা ভিটামিনে ভরপুর। পেয়ারার পাশাপাশি পাতাতেও রয়েছে ভিটামিন বি ও সি। রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টও। চুলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো কোলাজেন নামক প্রোটিন। কোলাজেনের মাত্রা বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে পেয়ারা পাতা।
কীভাবে সাহায্য করে?
এতে থাকা ভিটামিন সি কোলাজেন উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যা চুলের বৃদ্ধিতে কার্যকর। এতে থাকা লাইকোপেন নামে এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট কোষের ক্ষতি রুখতে সাহায্য করে। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির হাত থেকে চুলকে রক্ষা করে। পেয়ারা পাতার পানিতে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড চুল নরম, সুন্দর এবং মসৃণ করে। পেয়ারা পাতার পানিতে থাকে অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান। ফলে মাথার ত্বকের সংক্রমণ, খুশকি বা প্রদাহের মতো সমস্যার সমাধানও হতে পারে এই পানিতে।
পেয়ারা পাতায় শুধু ভিটামিন সি নয়, ই-ও থাকে। এই দু‘টি উপাদান ত্বক ও চুল, দুই-ই ভাল রাখতে কার্যকর। এতো গুণ থাকার জন্যই পেয়ারা পাতা ব্যবহারে প্রাকৃতিক উপায়ে ঝলমলিয়ে উঠতে পারে চুল।
কীভাবে পেয়ারা পাতা মাখবেন?
এক লিটার পানিতে বেশ কেয়কটি পরিষ্কার পেয়ারা পাতা ফুটিয়ে নিতে হবে। আঁচ কমিয়ে ঢাকা দিয়ে অন্তত ২০ মিনিট তা ফোটাতে হবে। তারপর সেই পানি ঠান্ডা করে ছেঁকে বোতলে ভরে নিতে পারেন। শ্যাম্পু করার পরে পেয়ারা পাতার পানি দিয়ে চুল ধুতে পারেন। আবার বোতলে ভরে সেটি চুলে স্প্রে করে নিতেও পারেন। সপ্তাহে ২-৩ বার এই পানি মাখলে চুল হবে ঘন ও সুন্দর।