মাথায় প্রবল খুশকির সম্ভার । প্রতিদিনই উঠে যাচ্ছে গুচ্ছ গুচ্ছ চুল । টাক পড়বে পড়বে অবস্থা ! পুরুষরা তো তবুও মাথার টাক নিয়ে বেঁচেবর্তে থাকেন…। কিন্তু মহিলাদের মাথায় টাক পড়লে হীনম্মন্যতার কেস আরকী !
তবে মহিলা, পুরুষ নির্বিশেষে চুলকে সুন্দর রাখতে সব্বাই চান । খুশকিপূর্ণ মাথায় চুলের উঠে যাওয়া রুখতে মাথার কত কী না করেন ! চুলের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়ার জন্য ইতিউটি ছুটে বেড়ান, না হলে বাজারচলতি চিকিত্সার শরণাপন্ন হন । এতে লাভের লাভ কতটা হয় বলা মুশকিল, কিন্তু গাঁট থেকে যে জলের মতো কড়ি বেরিয়ে যায়, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই ।
তাই বলি, ছুটাছুটি বন্ধ করুন । ঘরোয়া টোটকাতেই চুল থেকে বিদায় করুন খুশকি ।
শারীরিক কারণে স্কাল্পের কোশ নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় । মৃত কোশ উঠে গিয়ে খুশকির আকার ধারণ করে । সেই সব খুশকি সাদা পাউডারের মতো জড়িয়ে থাকে চুলের সঙ্গে । খুশকির তাণ্ডবেই চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে আসে । মাথা ফাঁকা হয়ে যায় । সিঁথি ক্রমশ সরু গলি থেকে রাজপথে পরিণত হয় । চুল ঝরে ঝুড়ি ঝুড়ি ! তবে কয়েকটি ঘরোয়া পরামর্শ মেনে চললে সহজেই খুশকির মোকাবিলা করা সম্ভব ।
কীভাবে…?
- বদলে নিন শ্যাম্পু । বাজারে এখন অনেক ব্র্যান্ডের হার্বাল শ্যাম্পু পাওয়া যায় । সেরকমই একটি নামী ব্র্যান্ডের খুশকি তাড়ানোর শ্যাম্পু কিনে নিন । নিয়মিত ব্যবহার করুন । ধীরে ধীরে কমে আসবে খুশকির দাপট ।
- খুশকি বাগে আনতে চুলে টক দই লাগাতে পারেন । টক দইয়ের অনেক গুণ । এটি মাখলে চুল দারুণ পরিষ্কার হয় । চুলের গোড়ায় ছড়িয়ে দিন টক দই । ১০-১৫ মিনিট সেভাবেই রাখুন । তারপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন ।
- বাড়িতে অ্যাসপিরিনের মতো ব্যথার ওষুধ থাকলে কাজে লাগাতে পারেন । এটিও খুশকির চিকিত্সায় ওস্তাদ । দুটি ট্যাবলেট গুঁড়ো করে শ্যাম্পুর সঙ্গে মিশিয়ে নিয়মিত চুলে লাগান ।
- ভেজা চুলে ও মাথায় খাবার সোডাও মাখতে পারেন । মিনিট খানেক পর চুল ভালো করে ধুয়ে ফেললেই খুশকিরা সব হাওয়া ।
এইরকম রকমারি টোটকায় রে রে করে পালিয়ে যাবে খুশকির দল । তাই আর চিন্তা কীসের ? আজ থেকেই শুরু করে দিন, “মার ঝাড়ু মার ঝাড়ু মেরে” খুশকি “বিদেয় কর !”