
প্রায় চার বছর পর ফের ইরানে খুলছে ব্রিটিশ দূতাবাস৷একই সঙ্গে ইংল্যান্ডেও আবার চালু হচ্ছে ইরানের দূতাবাসও৷ ২০১১ সালে দুই দেশের দূতাবাস অর্নিদিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যায়।
ইরানের পরমাণু কর্মসূচির জেরে তেহরানের ওপর আরোপ করা কঠোর নিষেধাজ্ঞা সমর্থন করে ব্রিটেন। প্রতিক্রিয়ায় ২০১১ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকে তেহরান থেকে বহিষ্কার করে ইরান৷ ব্রিটেনের দূতাবাসে হামলাও চালিয়েছিল ইরানের বিক্ষোভকারীরা। যার ফলে বন্ধ হয়ে যায় ইংলিশ দূতাবাস। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে লন্ডনে অবস্থিত ইরানের দূতাবাসও বন্ধ করে দেয় ব্রিটেন৷
২০১৩ সালে ইরানের প্রেসিডেন্ট হন হাসান রুহানি। তিনি পশ্চিমের দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে উদ্যোগী হন। তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচির বিষয়ে কয়েক সপ্তাহ আগে ইরান ও ছয় বিশ্বশক্তির মধ্যে ঐতিহাসিক সমঝোতা হয়। এরপরই বন্ধ হওয়ার প্রায় চার বছর পর ফের পরস্পরের দেশে দূতাবাস খুলছে ব্রিটেন ও ইরান।
ইরানে ফের দূতাবাস চালুর অনুষ্ঠানে অংশ নিতে তেহরান গিয়েছেন ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড। ২০০৩ সালের পর এই প্রথম যুক্তরাজ্যের কোনোও ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইরান সফরে গেলেন। ফিলিপ হ্যামন্ড বলেছেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে দুই দেশের দূতাবাস ফের চালু করা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।