[english_date]

চট্টগ্রাম বন্দরকে ৭ ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত

চট্টগ্রাম বন্দরকে ৭ ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত

ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’ এগিয়ে আসছে।আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ২৫০ কিলোমিটার এগিয়েছে। ফলে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় চট্টগ্রাম বন্দরকে ৭ নম্বর, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর এবং মংলা ও পায়রা বন্দরকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া কার্যালয় থেকে বিকেলে এ সতর্কবার্তা দেখাতে বলা হয়। পাশাপাশি চট্টগ্রাম বন্দরের নৌযানগুলোতে রাত ৮টার আগেই নিরাপদ স্থানে সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কক্সবাজার উপকূলে সকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে এবং সাগর ও উপকূলীয় এলাকায় জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়েছে।এদিকে উপকূলীয় দ্বীপজেলা ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী উত্তাল হয়ে ওঠেছে। ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর প্রভাবে এর প্রভাবে শুক্রবার সকাল থেকে দিনভর বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।

রোদের দেখা মেলেনি আজও।এ নিয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক সতর্কতামূলক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ভোলার জেলা প্রশাসক মো. সেলিম উদ্দিন জানান, ঘুর্ণিঝড় রোয়ানু মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। তিনি আরো বলেন, জেলার সাত উপজেলায় জরুরি সভা করা হয়েছে। প্রত্যেক ইউএনওকে সতর্কতামূলক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সব ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদেরও অবহিত করা হয়েছে। ট্রলারের মালিকদের নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে। জেলা সদর ও সব উপজেলায় একটি করে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সব ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ১০ হাজার দুই শ কর্মী বাহিনীকে মাঠে নেমে এ বিষয়ে প্রচার করে সতর্ক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে মানুষ ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে দ্রুত আশ্রয় নিতে পারে।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ