১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

চট্টগ্রামে ছাত্র জোটের সংহতি সমাবেশে ছাত্রলীগের হামলা, আহত ১০

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র জোটের উপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে গতকাল ২৯ জানুয়ারি সারা দেশে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দেয় ছাত্র জোট। গতকাল নগরীর নিউ মার্কেট মোড়ে ছাত্র জোট ধর্মঘট পালন কালে পুলিশের সামনে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাদের উপর হামলা চালায়। এর প্রতিবাদে আজ ৩০ জানুয়ারি ছাত্র জোট নগরীর চেরাগী পাহাড় মোড়ে সংহতি সমাবেশের ডাক দেয়। বিকেলে সংহতি সমাবেশ পালন কালে আবারও ছাত্রলীগ তাদের উপর হামলা চালায়। এতে সংহতি সমাবেশ লন্ডভন্ড হয়ে যায়। হামলায়  ১০ জন নেতাকর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

গত তিনদিন ধরে ধারাবাহিকভাবে চট্টগ্রাম নগরীতে ছাত্রলীগের হামলার শিকার হচ্ছেন দেশে ছাত্রজোটসহ বাম ও প্রগতিশীল রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নেতাকর্মীরা।

হামলার সময় ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকলেও তাদের নীরব থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বরং পুলিশকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মিছিল এবং ছাত্রজোটের সংহতি সমাবেশস্থল দখলে সহযোগিতা দিতে দেখা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নগর পুলিশের কোতয়ালী জোনের সহকারী কমিশনার মো.জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমাদের উপস্থিতিতে হামলার কোন ঘটনা ঘটেনি। প্রগতিশীল ‍ছাত্রজোট একটা মিছিল এনেছিল। সামান্য উত্তেজনা হয়েছিল। এরপর তারা নিজেরাই ছত্রভঙ্গ হয়ে গেছে। আমরা বরং ছাত্রলীগ যাতে কোন বিশৃঙ্খলা করতে না পারে সেজন্য মিছিল-সমাবেশের সময় তাদের কর্ডন করে রেখেছিলাম।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,  বিকেলে চেরাগির মোড়ে পিপলস ভয়েস নামে একটি পরিবেশবাদী সংগঠন পাহাড় কাটার প্রতিবাদে মানববন্ধন করছিল।  ছাত্রজোট ও বামপন্থী বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা সংহতি সমাবেশের জন্য জড়ো হয়েছিল।

বিকেল ৪টার দিকে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের একটি মিছিল আন্দরকিল্লার মোড় থেকে চেরাগির দিকে আসছিল।  মোমিন রোডে হঠাৎ করে ২০-২৫ জন যুবক হাতে লাঠিসোঠা নিয়ে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান দিয়ে মিছিলরতদের ধাওয়া দেয়।  এতে মিছিল ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

এরপর এসব যুবক চেরাগির মোড়ে গলির ভেতরে ঢুকে ছাত্রলীগের নামে স্লোগান দিতে দিতে গণমুক্তি ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় নেতা নাসিরউদ্দিন নাসু এবং গণসংহতি, চট্টগ্রামের সমন্বয়ক হাসান মারুফ রুমি, ছাত্রফ্রন্টের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মো.আদিলের উপর হামলা করে।  প্রথমে তারা দুই নেতাকে লাঞ্ছিত করে।  উপস্থিত বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা এগিয়ে এলে তাদের কিল-ঘুষি মারতে থাকে। এতে ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়।

সংহতি সমাবেশে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে সন্ধ্যায় ছাত্র জোট ও বামপন্থী নেতা কর্মীরা প্রতিবাদী মিছিল বের করে।
এসময় নেতাকর্মীরা বলেন, গত তিন দিন ধরে চট্টগ্রামে ছাত্র জোটের কর্মকান্ডে ছাত্রলীগ বাধা ও হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ পুলিশ প্রশাসনের সামনে হামলা চালালেও প্রশাসন চুপ মেরে দাঁড়িয়ে থেকে ছাত্রলীগকে সহযোগিতা করেছে।

ছবি: বাংলা নিউজ

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ