বিগত ৭ নভেম্বর ২০১৫ইং চট্টগ্রাম ওয়াসার ৩০তম বোর্ড সভায় আগামী ১ জানুয়ারি ’১৬ইং থেকে ওয়াসার পানির মুল্য ৫ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব অনুমোদন করার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষনকারী সংগঠন কনজ্যুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় ও মহানগর কমিটির নেতৃবৃন্দ। চট্টগ্রাম ওয়াসার পানির মুল্য বৃদ্ধির খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করে ক্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন চট্টগ্রাম ওয়াসার সরবরহকৃত পানির ৮৮% গ্রাহক হচ্ছেন বাসা বাড়ীর গ্রাহক। চট্টগ্রাম ওয়াসা দিনে মাত্র ২১ মিলিয়ন লিটার পানি সরবরাহ করতে পারে যা চাহিদার মাত্র ৪২ শতাংশ। যার কারনে নগরীর অধিকাংশ এলাকায় পানির জন্য হাহাকার। আর চট্টগ্রাম ওয়াসা পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত না করে নতুন নতুন প্রকল্পের কথা বলে নগরবাসীকে বারবার বিভ্রান্ত করছে এবং মুল্য বৃদ্ধির কথা বলে প্রকারান্তরে ওয়াসার অভ্যন্তরে পানি চুরি ও মিটার রিডারদের অনিয়মকে পোয়া বারো করে দিচ্ছে। চট্টগ্রাম ওয়াসার মোট গ্রাহকের ৬১৭১৭ বাসা বাড়ীর গ্রাহক এবং তার বিপরীতে মাত্র ৭৩৮৭ শিল্প গ্রাহক। কিন্তু নগরীর অধিকাংশ এলাকায় পানির জন্য হাহাকার। চট্টগ্রাম ওয়াসা নগরবাসীর পানির সমস্যা সমাধান না করে নতুন করে পানির মুল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব কোন ভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন ক্যাব থেকে প্রতিনিয়তই দাবী করে আসছিল যে, পানি অপচয় রোধ, পানির চুরি বন্ধ, বিলিং ব্যবস্থার ত্রুটি দূর না করে, সিস্টেম লস বন্ধ না করে উৎপাদান খরচ বেড়েছে বলে অজুহাতে ভোক্তাদের উপর পানির মুল্য বাড়ানোর প্রস্তাব কোন ভাবেই গ্রহন যোগ্য নয়। চট্টগ্রাম ওয়াসার অধিকাংশ গ্রাহকই সাধারন মধ্যবিত্ত ও নিন্ম আয়ের আয়ের মানুষ। আর এ শ্রেনীর মানুষ বিদ্যুৎ, গ্যাস, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবা সার্ভিসের মুল্য বৃদ্ধির যন্ত্রনায় কাতর, সেখানে নতুন করে পানির মুল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব সাধারন মানুষের জীবন যাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির মাত্রাকে আরো বাড়িয়ে দিবে। বিষয়টি কোন ভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ক্যাব পানির অপচয় রোধ, সেবা সার্ভিসের অব্যবস্থাপনা রোধে গ্রাহকদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্ঠি ও অনিয়ম রোধে গণশুণাণীর আয়োজন করা, গ্রাহক হয়রানি রোধে তাৎক্ষনিক প্রতিকারের জন্য ডিজিটাল হেলপ ডেস্ক ও হেলপ ডেস্ক আধুনিকায়ন, মুল্যবৃদ্ধিসহ সেবার মান উন্নয়নে নীতিমালায় ভোক্তাদের অংশগ্রহন নিশ্চিতকরার দাবী করে আসলেও চট্টগ্রাম ওয়াসা এ পর্যন্ত কোন উদ্যোগ গ্রহন করেনি। যা বর্তমান আধুনিক বিশ্বে সুশাসন ও ন্যায্য ব্যবসার পরিপন্থি।
নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করে বলেন চট্টগ্রাম ওয়াসার পরিচালনা পর্ষদে ভোক্তাদের সত্যিকারের প্রতিনিধিত্ব না হওয়ায় পরিচালনা পর্ষদ ভোক্তাদের যন্ত্রনা, মর্ম, ব্যাথা বেদনা ও আর্তনাদের ভাষা বুষতে সক্ষম হচ্ছে না। তাই অনতিবিলম্বে ওয়াসাসহ সকল সরকারী সেবা প্রদানকারী সংস্থায় জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক ভাবে স্বীকৃত ভোক্তা সংগঠনের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার দাবী জানান।