তৈরি পোশাক ক্রেতাদের আন্তর্জাতিক জোট একোর্ড এ্যালায়ন্সের কারণে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে চট্টগ্রামের ৩শ’ গার্মেন্টস কারখানা। নানা ধরণের ত্রুটি থাকায় এসব গার্মেন্টস দ্রুততার সাথে সরিয়ে নিয়ে মানসম্মত কারখানা গড়ে তোলার নির্দেশনা দিয়েছেন তারা।
কিন্তু স্থান সংকটের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ এবং গ্যাস সংযোগ না থাকায় এখনো কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি এসব গার্মেন্টস মালিকেরা। এ অবস্থায় গার্মেন্টসগুলো বন্ধ হয়ে গেলে হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
ঢাকায় তাজরীন ফ্যাশনে আগুন এবং রানা প্লাজা ধসে পড়ার পর বাংলাদেশে তৎপরতা শুরু করে এর্কোডা ও এ্যালায়ন্স। তারই ধারাবাহিকতায় এখানকার কারখানাগুলো পরিদর্শন করে বেশ কিছু নির্দেশনা দেয় তারা। নির্দেশনা অনুযায়ী চিহ্নিত ত্রুটি সারানো না গেলে তৈরি পোশাক না কেনার ব্যাপারেও হুঁশিয়ারি রয়েছে আন্তর্জাতিক এ দুটি জোটের। সবশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, চট্টগ্রামে চিহ্নিত করা হয়েছে এ ধরণের ৩শ গার্মেন্টস। বিজিএমইএ পরিচালক এম এ ওয়াহাব বলেন, ‘বেশিরভাগই হলো মধ্যম এবং নিম্ন মধ্যম শ্রেণীর গার্মেন্টস। তাদের টাকার অভাবের কারণে তারা এগুলোকে সরাতে পারছে না।’ এক্ষেত্রে নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে গার্মেন্টস মালিকদের।
বিজিএমইএ প্রথম সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘গার্মেন্টসের কাঠামোগত যে পরিবর্তন সেটা অনেকটা ব্যয়বহুল।’ বিজিএমইএ পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ভালো বিল্ডিং দরকার সেটআপ করার জন্য। আর এটা করতে গেলে জায়গার দরকার। আবার জায়গা থাকলেও গ্যাস, বিদ্যুতের অভাব।’
চট্টগ্রামে মোট ৯শ’ গার্মেন্টস কারখানার অনুমোদন থাকলেও বর্তমানে পুরো দমে উৎপাদনে রয়েছে প্রায় ৭’শ গার্মেন্টস। যেখানে কর্মরত শ্রমিকের সংখ্যা ৫ লাখ। বিজিএমইএ পরিচালক মোহাম্মদ শেখ সাদী বলেন, ‘গ্রাম থেকে যেসব মেয়েরা কাজ করতে আসছে তারা গ্রামে ফিরে গিয়ে আর সেসব সুযোগ সুবিধা পাবে না।’
গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা জানান, যেসব গার্মেন্টস বিভিন্ন ভবনের ফ্লোর ভাড়া নিয়ে কাজ করছিল, কিংবা সাব কন্ট্রাকে কাজ করছিলো এর্কোডা ও এ্যালায়ন্স তাদেরকেই ত্রুটি পরিপূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত করেছে। এর মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে এ ধরণের চিহ্নিত ১৭টি গার্মেন্টস কারখানা।