ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত হাজার হাজার লেবানিজ দেশে ফিরে এসেছে। যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর বুধবার (২৭ নভেম্বর) থেকে ব্যক্তিগত জিনিসপত্র দিয়ে বহু লেবানিজকে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে।
এই যুদ্ধে ১২ লাখের বেশি লেবানিজ বাস্তচ্যুত হয়। তারা বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
লেবাননের বিদিয়াস গ্রাম থেকে বাস্তুচ্যুত হওয়া ৫৯ বছর বয়সী মোহাম্মদ কাফারানি বলেন, আমার জীবনে ৬০ দিন ছিল খুবই বাজে ও কুৎসিত। আমাদের লুকানোর কোনো জায়গা ছিল না।
যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় গত মঙ্গলবার রাতে ইসরায়েলের অনুমোদিত চুক্তিতে প্রাথমিকভাবে দুই মাসের যুদ্ধ বন্ধ রাখার আহ্বান জানানো হয়। শর্ত দেওয়া হয়, হিজবুল্লাহকে দক্ষিণ লেবাননে তার সশস্ত্র উপস্থিতি শেষ করতে হবে। ফলস্বরূপ ইসরায়েলি সেনারা ফিরে যাবে।
দক্ষিণাঞ্চলে হাজার হাজার অতিরিক্ত লেবানিজ সেনা এবং জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মোতায়েন করা হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে একটি আন্তর্জাতিক প্যানেল সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে।
ইসরায়েল বলছে, চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করলে হিজবুল্লাহর ওপর হামলা চালানোর অধিকার তাদের রয়েছে।
আল আকসায় ইসরায়েলি তাণ্ডবের পর ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে আন্তঃসীমান্ত অভিযান চালায় হামাস। এর জবাবে ইসরায়েল এখনো গাজার বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এতে ৪৫ হাজারের মতো মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত মঙ্গলবার জানিয়েছেন, তার প্রশাসন আগামী দিনগুলোতে সেখানে যুদ্ধবিরতি এবং হামাসের হাতে আটক কয়েক ডজন জিম্মিকে মুক্তির জন্য আবারও চাপ দেবে।