গোটা দুনিয়া চেয়ে রয়েছে আজ গ্রিসের দিকে৷ ঋণ সংকট মেটাতে এই দেশের মানুষ কি চায় তা জানতেই গণভোট শুরু হয়েছে সেখানকার পোলিং ক্যাম্পে। রবিরারের স্থানীয় সময়ের সকাল ৭টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে৷স্থানীয় সূত্রের খবর, গত তিন ঘণ্টায় গ্রিসের নাগরিকরা স্বতস্ফুর্তচভাবেই ভোট দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ইউরোপের এই দেশটি ইউরোজোন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল না ঋণদাতাদের প্রস্তাব মেনে নিল তা জানা যাবে এদিনই৷কারণ গণভোটের ফলাফল এদিনই বেরিয়ে যাবে৷
ইতিমধ্যেই গ্রিসের অর্থমন্ত্রী ইয়ানিস ভারুফাকিস আইএমএফ এবং বাদবাকি ইউরোপীয় দেশগুলির প্রতি কটাক্ষ করে বলেছেন, ঋণদাতারা গণভোটের ঠিক আগের দেশের ভিতর একটা ত্রাসের রাজত্ব তৈরি করেছে৷ যদিও ইউরোপীয় ইউনিয়নে গ্রিসের ১৮টি সহযোগী রাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও পাল্টা দাবি ছিল, গ্রিস ইউরোপীয় অঞ্চল থেকে বেরিয়ে গেলে তাদের কিছু আসে যায় না। কারণ ইউরোপীয় জোটের মোট জাতীয় আয়ের মাত্র ২ শতাংশ আসে গ্রিস থেকে। অর্থমন্ত্রী জানান, কোনও রকম দাসত্ব মানবে না বলেই গ্রিস সরকার ত্রাণ প্রকল্পে সায় দিচ্ছে না। তাই গ্রিক জনগণকে আর্থিক ত্রাণ প্রকল্পের বিরোধিতা করে ‘না’ ভোট দিতে আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
ঋণদাতাদের সন্ত্রাস জেরেই গ্রিস সরকারকে ৬ জুলাই পর্যন্ত ব্যাংক বন্ধ রাখতে বাধ্য করা হয়েছে বলেও যুক্তি দেখিয়েছেন তিনি। নানা ভাবে ‘ভয় দেখিয়ে’, ত্রাণ প্রকল্প মেনে নিয়ে ‘হ্যাঁ’ ভোট দিতে চাপ দেওয়া হচ্ছে গ্রিস নাগরিকদের উপর। প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপ্রাসও একই সুরে জনগণের উদ্দেশে বলেছেন, ‘না’ ভোট দেওয়ার মানে হল কোনও ‘হুমকি’ বা ‘সন্ত্রাস’-এর যোগ্য জবাব দেওয়া৷
প্রসঙ্গত, উন্নত দুনিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে আইএমএফের খাতায় ঋণখেলাপি বলে নাম উঠেছে গ্রিসের। ৩০ জুন সময়সীমার মধ্যে ১৬০ কোটি ডলার আইএমএফ ঋণ ফেরত দিতে না পারায় অর্থ সঙ্কটে ধুঁকছে গ্রিস। পরিস্থিতি এমনই নগদের অভাবে ব্যাংক বন্ধ, ক্ষুব্ধ পেনশনপ্রাপকরা৷