নগরীর পতেঙ্গা থানা এলাকায় কয়েকটি মাল্টিপারপাস,বহুমুখি সমিতি ,ফাউন্ডেশন এবং ক্ষুদ্র ঋনদান প্রকল্প ও অর্থলগ্নীকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের কোটি কোটি হাতিয়ে নিয়ে যাওয়ার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ রকম দুটি অভিযোগের সত্যতা যাছাই করতে গিয়েই পাওয়া গেল অভিনব বহু মুখি সমিতির নামে বহুমূখি প্রতারণার তথ্য।
উত্তর পতেঙ্গাস্থ স্টীল মিল বাজার(পুরাতন পোষ্ট অফিস) জয়নাল স্টোরের জয়নাল আবেদীনের বিরুদ্ধে বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বরিশাল ভান্ডারিয়ার মোঃ আব্দুর রহিম অভিযোগ করলে এই সব ভুয়পুড় অর্থলগ্নীকারী প্রতিষ্ঠানের চরম অনিয়ম এবং গ্রাহক প্রতারণার বাস্তব কিছু প্রমান পত্র দেন।
জয়নাল স্টোরের জয়নাল আবেদীন অভিযোগ কারী রহিমের কাছে ব্যবসার কাজে দু’দফায় ৩ লাখ টাকা নিয়ে প্রাপ্ত টাকা বাবদ সোনালী ব্যাংক ও ব্যাংক এশিয়ার (কেইপিজেড-পতেঙ্গা) শাখার ৩টি চেক দেন । যা পরবর্তীতে চেক গুলো ডিজঅনরার বা ব্যাংক হিসাব শূন্য দেখিয়ে গ্রাহক রহিম কে ১৩৮ধারায় মামলা করতে নির্দেশ দেন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।অদ্যবতী গ্রাহক ও ভুক্তভোগি রহিম এখনো তার পাওনা তিন লাখ টাকা না পেয়ে প্রশাসনের ধারে ধারে ধন্য দিচ্ছেন।
সে গত ১৭/১২/১৭ইং নিকটস্থ পতেঙ্গা মডেল থানায় লিখিত দরখাস্ত করে প্রতারক জয়নালের দোকান এবং নিকটস্থ বাড়ী তে গেলে প্রতিবেশীরা জানান, সে পরিবার নিয়ে বর্তমানে ঢাকার উত্তরায় অবস্থান করছেন বলে প্রতিবেদক কে জানান।
এদিকে উত্তর পতেঙ্গাস্থ স্টীল মিল বাজার (হাউজিং কলোনী)’র মুখে নুর আলী মার্কেটের ২য় তলায় দারিদ্র মোচন সঞ্চয় ঋনদান প্রকল্প (দা.মো.স)এর ’ চেয়ারম্যান মোঃ মুজিবুর রহমান মুনসুরের বিরোদ্ধে ও কোটি টাকা নিয়ে প্রতানার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে বিগত অক্টোবর মাস থেকে কয়েকশ গ্রাহকের টাকা নিয়ে ঢাকায় আত্ম গোপন করেছেন বলে ভুক্তভোগি গ্রাহক দুলাল জানান।একই বিল্ডিংয়ের পাশে নবোদয় বহুমুখি সমবায় সমিতির চেয়ারম্যান মোঃ এনামুল হক (এনাম) ও প্রায় ৫/৬মাস যাবত কোটি কোটি টাকা নিয়ে গা-ডাকাদেন বলে প্রতিবেশী সমিতির সাঃ সম্পাদক বাবু রতন দাশ জানিয়েছেন।
বাবু রতন আরো জানা যে,তার (উত্তর পতেঙ্গা যৌথ আবাসিক কলোনী) সমিতি’র সভাপতি মোঃ মাসুদুর রহমান (মাসুদ) প্রায় ৫/৬ কোটি টাকা বে-আইনীভাবে অন্য সমিতিতে ট্রান্সপার করে বর্তমানে ঢাকার উত্তরায় অন্য নামে সম্মিলিত ভাবে সমিতির খুলে পূনরায় প্রতারণা করার কাজে চেস্টা করছেন।এব্যাপারে পতেঙ্গা ও ইপিজেড থানায় যোগাযোগ করলে কর্তব্যরত পুুলিশ অফিসার সংবাদ মাধ্যম কে জানান, আমরা গত কয়েক মাসে বেশ কয়েটি অভিযোগ পেয়েছি,তবে চেক প্রতারণা হওয়াতে গ্রাহকদের চেক-প্রত রণা মামলা করার পরার্মশ দেয়।
এছাড়া তাদের প্রতিষ্টানে একাধিক ভারে খোঁজ নিয়ে আসামীদের পাওয়া না যাওয়াতে কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি।তবে চেক ডিজঅনার মামলা হলেই কোর্টের আদেশ পেলে যাবতীয়-আইনী ব্যবস্থা অবশ্যই নিব।এছাড়া এসব সমিতি/ফাউন্ডেশন/ ক্ষুদ্র ঋনদান প্রকল্প ও অর্থলগ্নীকারীদের বিশেষ নজরদারী করছেন বলে থানা পুলিশ জানান।
একাধিক সূত্রে জানায়, নগরীর ইপিজেড ও পতেঙ্গার আরো বেশ কয়েকটি ঋনদান প্রকল্প সমিতি/ফাউন্ডেশনের নামে এফ.ডি.আর,ডিপিএস এবংদৈনিক সঞ্চয় /জমা নিয়ে তা গ্রাহকদের ঠিক সময়ে ফিরিয়ে না দিয়ে উল্টো শাসিয়েদেন এবং মিথ্যা মামলার হুমকি দেন নিরীহ গামেন্টস শ্রমিকদের। তারা নিরুপায় হয়ে মানবাধিকার নেতা বা স্থানীয় নেতাদের আশ্র্রয় নিয়েও চরম হয়রানীর শিকার হচ্ছেন বলে নারী শ্রমিক স্মৃতি জানান। বিষয়টি সর্ম্পৃকে আঞ্চলিক সমবায় কর্মকর্তার সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি অভিযোগ থাকলে নিকটস্থ থানায় মামলা করতে জানান।