জেলার কালিহাতীতে পুলিশের গুলিতে তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনায় কালিহাতী থানার তিন এসআই ও চার পুলিশ কনস্টেবলকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
টাঙ্গাইলের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার সঞ্জয় সরকার শনিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, শনিবার বিকেলে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি মাহমুদুল হক নুরুজ্জামান কালিহাতী থানায় সাংবাদিকদের জানান, সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ঘটনাস্থলে উপস্থিত কালিহাতী থানার সব পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে টাঙ্গাইল পুলিশ লাইনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে নিহত শামীম, ফারুক ও শ্যামলের লাশ শনিবার বিকেলে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
কালিহাতীতে মা ও ছেলেকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের বিচার দাবিতে এলাকাবাসীর বিক্ষোভে শুক্রবার বিকেলে পুলিশ গুলি চালালে তিনজন নিহত হন। গুলিবিদ্ধ হন আরও সাতজন। পুলিশের লাঠিচার্জে আহত আহত হন আরও অর্ধশতাধিক।
থমথমে কালিহাতী
এদিকে শুক্রবারের ওই ঘটনার পর শনিবার এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। উপজেলা সদর দিয়ে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানবাহন চলাচল করলেও শহরের অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। শহরে লোকজনের উপস্থিতি কম। তবে পুলিশ ও বিজিবি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।
তদন্ত কমিটি গঠন
জনতার বিক্ষোভে গুলিতে হতাহতের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুলিশ সদর দফতর। কমিটিকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (এআইজি) মো. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শনিবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অতিরিক্ত ডিআইজি (ডিসিপ্লিন) মো. আলমগীর আলমকে সভাপতি করে তিন সদস্যের এই তদন্ত কমিটির গঠন করা হয়। কমিটির অপর সদস্যরা হলেন— ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আক্তারুজ্জামান ও টাঙ্গাইল জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আসলাম খান।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. মোখলেছুর রহমানের নির্দেশে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।