১৩ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

গুগলের ক্রোম ব্রাউজারের মাধ্যমে নিরাপদ/অনিরাপদ ওয়েবসাইট বাচাই করুন

কোনো ওয়েবসাইটের যদি নিরাপত্তা বিষয়ক কোডগুলোতে সামান্য সমস্যাও থাকে, তবে গুগলের ক্রোম ব্রাউজারে সেই সাইটটিকে অনিরাপদ দেখাচ্ছে। ভবিষ্যতে ওয়েবসাইটকে ‘সিকিউর’ বা নিরাপদ ও ‘নট সিকিউর’ বা অনিরাপদ শুধু এ দুটি স্তরে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে গুগল।

বর্তমানে ক্রোম ব্রাউজারে সাইটের ইউআরএলের সামনে বিশেষ চিহ্ন দিয়ে সাইটের নিরাপত্তার বিষয়টি বোঝানো হয়। গুগল সম্প্রতি ক্রোম ৪৬ নামে ক্রোম ব্রাউজারের হালনাগাদ সংস্করণ উন্মুক্ত করেছে। এই সংস্করণে ওয়েব নিরাপত্তার বিষয়টি ব্যবহারকারীকে জানানোর জন্য বিশেষ পরিবর্তন নিয়ে এসেছে গুগল। এ কারণেই এ সমস্যা দেখাচ্ছে।
কারও যদি এইচটিটিপিএস সাইট থাকে এবং সেটি শতভাগ নিরাপদ হয়, তবে সেক্ষেত্রে একটি সবুজ তালা চিহ্ন দেখাচ্ছে গুগল। তবে যদি কোনো সাইটে কোড ভাঙা থাকে, তবে লাল ‘এক্স’ চিহ্ন দেখাচ্ছে।
এইচটিটিপিএস হল হাইপার টেক্সট ট্রান্সফার প্রটোকলের নিরাপদ ভার্সন। ডিজিটালভাবে ডেটাগুলো একত্র করে গোপনীয়তা বজায় রেখে ইউজার ডিভাইস থেকে অনলাইন সার্ভারে স্থানান্তর করে। যা তথ্যগুলো অন্যদের নজরদারি থেকে রক্ষা করে। যেসব সাইটের অ্যাড্রেস এইচটিটিপিএস দিয়ে শুরু হয়, সেগুলোতে তথ্য অধিকতর নিরাপদ থাকে।
গুগল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ক্রোম ব্যবহারকারীদের জন্য নিরাপত্তার কয়েকটি স্তর জানার জন্য এ পরিবর্তন এনেছে। কেউ যদি ব্রাউজারে হলুদ রঙের সতর্কতামূলক ত্রিভুজ ব্যাজ দেখতে পান তবে তিনি ধন্দে পড়ে যেতে পারেন। তাঁর কাছে মনে হতে পারে, এইচটিটিপিএসের সামান্য ত্রুটিযুক্ত সাইটগুলো হয়তো এইচটিটিপির চেয়ে কম নিরাপদ। তাই ক্রোমের নতুন সংস্করণে কোনো চিহ্ন দেখানো হবে না। তবে এইচটিটিপিএসের কোড ভাঙা থাকলে তাতে লাল রঙের ক্রস চিহ্ন দেখা যাবে।
এক ব্লগ পোস্টে গুগল জানায়, এইচটিটিপিএস যুক্ত সাইটের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। গত বছরে এইচটিটিপিএস যুক্ত সাইটের সংখ্যা ছিল ৫৮ শতাংশ। এ বছর তা বেড়ে হয়েছে ৬৩ শতাংশ।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ