১৪ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

গাজায় রাতভর ইসরাইলের হামলা, বন্ধ খাবার ও পানি সরবরাহ

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় রাতভর ব্যাপক বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। একই সঙ্গে গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণ অবরুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। এর অংশ হিসেবে উপত্যকাটিতে খাবার, পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হচ্ছে। এতে বিধ্বস্ত গাজায় ভয়ানক মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে।

গাাজা থেকে আলজাজিরার রিপোর্টার তারেক আবু আজউম বলেন, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে সারারাত ধরে দক্ষিণের শহর খান ইউনিসকে লক্ষ্য করে অসংখ্য বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল।

তিনি ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, চারটি অ্যাম্বুলেন্স ইসরাইলি গুলিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গাজা উপত্যকায় ধারাবাহিকভাবে ইসরাইলি হামলা চলতে থাকলে মানবিক বিপর্যয় হতে পারে।

 

ফিলিস্তিনের মুক্তি আন্দোলনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলার জবাবে শনিবার থেকে গাজায় বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলের বিমানবাহিনী। এরই মধ্যে সোমবার উপত্যকাটি সম্পূর্ণভাবে অবরুদ্ধ করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। গাজায় স্থল অভিযানের জন্য সেনা সমাবেশও ঘটানো হয়েছে। তিন লাখ রিজার্ভ সেনাকে বাহিনীতে যুক্ত করেছে ইসরাইল।

সোমবার ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইওয়াভ গ্যালান্ট বলেছেন, আমি গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণ অবরোধের নির্দেশ দিয়েছি। বিদ্যুৎ, খাবার ও গ্যাসসহ সবকিছুই সেখানে বন্ধ থাকবে।’ যদিও শনিবার থেকেই গাজায় বিদ্যুৎ ও পানির সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

এদিকে হামাসের হামলায় নিহত ইসরাইলিদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯০০ জনে। নিহতদের মধ্যে বহু সেনাসদস্য, নারী ও শিশু রয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও প্রায় ২৫০০ ইসরাইলি।

এর আগে ইসরাইলের অভ্যন্তরে হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর গাজায় তাদের ‘গুঁড়িয়ে দিতে’ শুরু করেছে ইসরাইল। গোটা উপত্যকাজুড়ে চলছে বোমা হামলা। এখন পর্যন্ত ৫৬০ ফিলিস্তিনি মারা গেছেন এবং আহত হয়েছেন ৩ হাজারের বেশি।

এর মধ্যে আজ ইসরাইলের দক্ষিণে আক্রান্ত এলাকা সফরে গিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাসের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ কেবল শুরু হয়েছে। আগামীতে হামাসকে আরও কঠিন ও ভয়ঙ্কর কিছু দেখতে হবে। আমরা আপনাদের (সেনাবাহিনী) সঙ্গে আছি এবং আমরা তাদের (হামাসকে) সর্বশক্তি দিয়ে পরাজিত করব।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ