ফ্রান্স ও ব্রাজিল থেকে নিম্নমানের গম আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ইমপেক্স কনসালটেন্ট লিমিটেডকে কালো তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
গত অর্থবছরে এই প্রতিষ্ঠান ৩ লাখ মেট্রিকটন গম আমদানি করে। এর মধ্যে ব্রাজিলের গম নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে সরকার। তার রেশ কাটতে না কাটতেই ফ্রান্স থেকে আমদানি করা গম নিয়েও শুরু হয় হৈচৈ। গম নিম্নমানের হওয়ায় তা ফেরত দেয়ার সিদ্ধান্ত দেয় খাদ্য মন্ত্রণালয়।
এরই মধ্যে সম্প্রতি মংলা বন্দর দিয়ে ফ্রান্স থেকে আনা ২১ হাজার মেট্রিক টন নিম্নমানের গম খালাসের চেষ্টা ধরা পড়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই গম ফেরত দেয়ার পাশাপাশি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, নিম্নমানের প্রমাণিত হওয়ায় ফ্রান্স ও ব্রাজিল থেকে আমদানি করা গমের একটি বড় অংশ আগেই ফেরত পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে অনেক তদবির হয়েছে। কিন্তু সরকার তার সিদ্ধান্তে অটল। কোনো নিম্নমানের গম আর গ্রহণ করা হবে না।
এ সময় তিনি বলেন, শুধু গম ফেরত দিয়েই আমরা বসে থাকিনি। আমদানিকারক সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করার নির্দেশও দিয়েছি। দু-একদিনের মধ্যেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। মংলা বন্দর দিয়ে ফ্রান্স থেকে আমদানি করা নিম্নমানের গম খালাস করার তৎপরতা চালানোর অভিযোগ ওঠে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এমভি পিনটেইল নামের একটি জাহাজে ফ্রান্স থেকে ৫২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন গম আমদানি করে ইমপেক্স কনসালটেন্ট লিমিটেড। জাহাজটি এপ্রিল মাসে বাংলাদেশে আসে।
ব্রাজিলের গম নিয়ে হৈচৈ শুরু হলে দীর্ঘদিন তা চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে ভাসমান ছিল। পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে ওই জাহাজের গম পরীক্ষার জন্য গবেষণাগারে পাঠানো হয়। দরপত্রের চুক্তি অনুযায়ী গম মানসম্মত হওয়ায় তা খালাস শুরু করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সাড়ে ৭ হাজার টন খালাসের পর নিম্নমানের গম ধরা পড়লে তা খালাসে আপত্তি জানায় খাদ্য অধিদপ্তর। পরে এ নিয়ে আলোচনার পর এ গম বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটে পরীক্ষার জন্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। সেখানে পরীক্ষার পর চুক্তির শর্ত পূরণ হওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ৩০ হাজার টন গম গ্রহণ করা হয়।