ইউরোজোনের অর্থনীতির ধীরগতির মধ্যেই গতি ফিরতে শুরু করেছে স্পেনের অর্থনীতিতে। বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে দেশটির আর্থিক কার্যক্রম সম্প্রসারিত হয়েছে ১ শতাংশ। চাঙ্গা হয়ে উঠেছে দেশটির উৎপাদন ও আবাসন খাত। তবে নতুন কর্মস্থান সৃষ্টি হলেও ২২ শতাংশ বেকারত্ব হার নিয়ে এদিক দিয়ে এখনো শীর্ষ পর্যায়ে স্পেন।
একদিকে অর্থ সংকট আর ব্যয় সংকোচন নীতিতে বিপর্যস্ত গ্রিস, অন্যদিকে পুরো ইউরোজোনের মন্দার ধাক্কা সামাল দিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করা ব্রিটেন কিংবা স্পেন। ইউরোজোনের দেশ হলেও অর্থনৈতিকসহ সামগ্রিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় গ্রিস আর স্পেন যেন মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। কারণ মন্দা কাটিয়ে একে একে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে স্পেন, ব্রিটেন, ফ্রান্স কিংবা জার্মানির মতো ইউরোজোনের শক্তিশালী অর্থনীতির দেশগুলো। চাঙ্গা হয়ে উঠছে আর্থিক খাতগুলো। তাইতো বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে স্পেনের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১ শতাংশ, যা গেলো ৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
মুদ্রাবাজার বিশ্লেষক ক্যাথলিন ব্রুকস বলেন, ‘ইউরোপে বিনিয়োগের ব্যাপারে ধীরে ধীরে বিশ্বের বহুজাতিক কোম্পানিগুলো আস্থা ফিরে পেতে শুরু করেছে। চীনের মতো দেশকে বাদ দিয়ে কোম্পানিগুলো স্পেন এবং পর্তুগালের মতো দেশে ব্যবসায়িক কার্যক্রম সম্প্রসারণের কথা ভাবছে। এতেই বোঝা যায়, ইউরোজোন এখন আর আগের মতো বেহাল দশায় নেই।’
তবে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির দিক দিয়ে এখনো পিছিয়ে স্পেন। বর্তমানে দেশটিতে বেকার সংখ্যা ৫০ লাখ, যা গোটা ইউরোজোনের মধ্যে সর্বোচ্চ। অনেকেই কম বেতনে খন্ডকালীন চাকরি করছেন। মুদ্রাবাজার বিশ্লেষক ক্যাথলিন ব্রুকস আরও বলেন, ‘স্প্যানিশদের ভোগান্তির কোন শেষ নেই। কারণ একেতো চাকরি নেই, তার ওপর বিভিন্ন খাতে গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত কর।’
বেকারত্ব নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলে স্পেনের প্রবৃদ্ধি আরো বাড়বে বলে পূর্বাভাস বিশ্লেষকদের। চলতি বছর দেশটির প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৩ শতাংশ নির্ধারণ করেছে স্প্যানিশ সরকার।