
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদলের বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, ‘দশের গণতান্ত্রিক ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধিদল খালেদা জিয়াকে জানিয়েছে বাংলাদেশের সঙ্গে ইইউর বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়াতে হলে অবশ্যই আগে দেশে জনপ্রতিনিধিত্বের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সরকার জনগণের প্রতিনিধিত্ব না করলে সেই সরকারকে ইইউ সহযোগিতা করে না।’
মঈন খান বলেন, ‘আমরা এখনো এলডিসির (স্বল্পোন্নত দেশ) অন্তর্ভূক্ত। তাই সেভাবেই অর্থনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখা হয়। তবে সেটা কনটিনিউ করতে হলে গণতন্ত্র সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। [ad id=”28167″]তিনি বলেন, অগণতান্ত্রিক সরকারকে পৃষ্ঠপোষকতা করলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকটি রাষ্ট্রকে জবাবদিহিতা করতে হয়। কারণ সেদেশের মানুষের ট্যাক্সের দেয়া টাকা থেকে আমাদেরকে সহযোগিতা করে। তাই তারা সব শ্রেণির সঙ্গে আলোচনা করে থাকেন।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিকেল চারটা ৩৫ মিনিটে এই বৈঠক শুরু হয়। শেষ হয় পাঁচটা ৪৬ মিনিটে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্ট সদস্য ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক প্রতিনিধি দলের চেয়ারপারসন জিন ল্যাম্বার্ট ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
বৈঠকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে মঈন খান বলেন, ‘মূলত ইইউ ইউনিয়নের বাংলাদেশ নিয়ে যে কনসার্ন সে বিষয়েই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। দেশের চলমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে যে উদ্বেগ তা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।’