মূল নেতৃত্বে কোনো নড়চড় না হলেও সাংগঠনিক কাঠামো তথা গঠনতন্ত্রে বড় ধরণের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। দুইভাগে বিভক্ত করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় কমিটিকে। কমানো-বাড়ানো হচ্ছে পদমর্যাদা।
বয়োবৃদ্ধ ও কার্যত নিষ্ক্রিয়দের জন্য নতুন জায়গা তৈরি করে গুরুত্বপূর্ণ পদে উদ্যমী ও অপেক্ষাকৃত তরুণদের স্থান দেয়ার পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের দায়িত্বশীল নেতারা।
পর পর দুই দফায় সরকারবিরোধী আন্দোলনে ব্যর্থতার পর এ বছরের মাঝামাঝিতে এসে নতুন করে দল গোছানোর সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপির হাইকমান্ড। সেই মোতাবেক সারাদেশে জেলা ও উপজেলা কাউন্সিল অনুষ্ঠানের কাজ শুরু করে দিয়েছে দলটি। পাশাপাশি দলের সাংগঠনিক কাঠামো ঢেলে সাজানোর সিদ্ধান্তও অনেকটাই চূড়ান্ত। ইতোমধ্যে খসড়া নতুন গঠনতন্ত্রের খসড়াও প্রস্তুত হয়েছে বলে জানা গেছে।
দলের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি দুই ভাগ করে গঠিত হবে ‘কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ’ ও ‘জাতীয় পরিষদ’। জাতীয় নির্বাহী পরিষদের আদলে তৈরি হবে কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ।
শীর্ষ নেতারা বলছেন, এই পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ পদে ত্যাগী, উদ্যমী ও অপেক্ষাকৃত তরুণদের প্রাধান্য দেয়া হবে। খসড়া গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, জাতীয় পরিষদে থাকবেন নির্বাহী পরিষদে স্থান না পাওয়া কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের কর্মঠ নেতারা। এছাড়া, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের নাম বদলে তা বিএনপি’র উপদেষ্টা পরিষদ করা হবে। দায়িত্বশীলদের মতে, এই পরিষদে ঠাঁই দেয়া হবে বয়োবৃদ্ধ ও নিষ্ক্রিয় নেতাদের।
খসড়া গঠনতন্ত্রে যুগ্ম-মহাসচিবদের পদ-মর্যাদা বাড়ানো ও বিশেষ সম্পাদকের পদমর্যাদা কমানোসহ আরো বেশকিছু পরিবর্তন থাকবে বলে জানান শীর্ষ নেতারা। জেলা ও উপজেলা কাউন্সিল শেষে পরবর্তী জাতীয় কাউন্সিলে এই গঠনতন্ত্র চূড়ান্ত হবে বলেও জানান তারা।