২৮০ টাকা কেজি কাঁচালঙ্কা। রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন খুচরা বাজারে প্রতি কেজি কাঁচালঙ্কা বিক্রি হয়েছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায়। মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে নিত্য প্রয়োজনীয় এই সবজির দাম রীতিমতো আকাশ ছুঁয়েছে।
শহরের ব্যবসায়ীরা জানান, বৃষ্টির কারণে উৎপাদনকারী জেলা থেকে কোনও লঙ্কা আসছে না। এজন্য বাজারে দেশি মরিচের কোনও সরবরাহ নেই। বাজারে যে লঙ্কা বিক্রি হচ্ছে, তা ভারত থেকে আমদানি করা। বেশি দামে আমদানি করার কারণে দামও বেড়ে গিয়েছে।
তাঁরা বলেন, বাজারে এখন যে কাঁচালঙ্কা বিক্রি হচ্ছে, তা ভারত থেকে আমদানি করা। এই লঙ্কার দাম বেশি হলেও তেমন ঝাল নেই। তারপর চাহিদা অনুয়ায়ী সরবরাহ কম থাকায় বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে ভারতে বর্তমানে প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা। পরিবহণ ও অন্যান্য খরচ দিয়ে প্রতি কেজি কাঁচা লঙ্কার দাম পড়ছে সর্বোচ্চ ১১৫ থেকে ১২০ টাকা। এই হিসেবের সঙ্গে মুনাফা যোগ করলে প্রতি কেজি কাঁচা লঙ্কার দাম সর্বোচ্চ ১৩০ থেকে ১৪০ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের লঙ্কা উৎপাদনকারী জেলা মানিকগঞ্জ, যশোর, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুরে গত এক সপ্তাহের টানা বর্ষণের কারণে লঙ্কার সরবরাহ কিছুটা কমে গিয়েছে। তবে পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। এসব জেলায় প্রতি কেজি লঙ্কা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ১২০ টাকায়। কিন্তু ব্যবসায়ীরা সুযোগ বুঝে লঙ্কার কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে মুনাফার নামে পকেট কাটতি শুরু করেছে।
