বিএনপি চেয়ারপারসনের গাড়িবহর ও নেতা-কর্মীদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে মিরসরাই উপজেলা বিএনপি। বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মো.নুরুল আমিন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণ করতে গত শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিএনপি চেয়ারপারসন কক্সবাজার যাওয়ার পথে তাকে স্বাগত জানাতে মিরসরাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দলীয় নেতা-কর্মীরা অবস্থান নেন। এদিন সকালে উপজেলার মোস্তান নগর এলাকায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা হয়।
মিরসরাই অতিক্রম করার সময় খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা চালিয়ে ৮টি গাড়ি ভাংচুর ও ককটেল বিস্ফোরণে অন্তত ১৫ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, এ ধরনের নারকীয় ঘটনায় মিরসরাইবাসী স্তম্ভিত।
খালেদা জিয়া মিরসরাই পৌঁছার আগে শনিবার সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মিরসরাই উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মো.আলমগীর, ৩ নম্বর জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন যুবদল নেতা মো.মামুন, পৌরসভা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক কে জেড এম পারভেজের বাড়িতে পুলিশি হামলা, রারৈয়ারহাট পৌরসভা বিএনপি’র আহবায়ক দিদারুল আলম মিয়াজির বাড়িতে সন্ত্রাসী ও পুলিশি হামলা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপি নিয়মতান্ত্রিক সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ধারার বৃহৎ রাজনৈতিক দল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রের অন্ধকার পথ বিএনপি চিনে না। চিনতেও চায় না। ব্যাপক জনসমর্থনই এই দলের চালিকাশক্তি। তাই আমরা উপজেলাকে সন্ত্রাসমুক্ত করতে প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলাকারীদের আগামী ১৫ দিনের মধ্যে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি নেতা-কর্মীদের অহেতুক হয়রানি বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় মানববন্ধন, প্রতিবাদ সভা, সড়ক, রেলপথ অবরোধসহ রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এদিকে আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সিদ্ধান্তে ফেনীতে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বিএনপি চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম।সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবদুল আওয়াল চৌধুরী, মিরসরাই উপজেলা বিএনপি সদস্যসচিব মো. সালাউদ্দিন সেলিম, যুগ্ম আহবায়ক শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, নুরুল আবছার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।