ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আগে ক্ষমতাসীনদের ‘পৈশাচিকতা ও বর্বরোচিত কর্মকাণ্ড’ বৃদ্ধি পেয়েছে দাবি করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, নির্বাচন কমিশন সরকারের অপরাধের সহযোগী হিসেবে কাজ করছে।
বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন।
রিজভী জানান, ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর থানার শেখমাটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী তৌহিদুল ইসলামের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় থানা ছাত্রদলের নেতা মো. শামসুল হক ছোট্টের ওপর হামলা চালায় সরকার সমর্থকরা। এতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানেও পিরোজপুরের মতো বিএনপির প্রার্থীদের হুমকি, হামলা, প্রচারণায় বাধা, নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতন করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন রিজভী।
তিনি বলেন, ‘দেশজুড়ে ইউপি নির্বাচনী এলাকাগুলোতে জনগণের অংশগ্রহণকে পদদলিত করে যারা সব আত্মসাৎ করে নিচ্ছে, তাদের ছিনতাই করা বিজয়কে বৈধতার সনদ দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।’
‘সরকারের মদদে’ গোটা নির্বাচনী ব্যবস্থা সন্ত্রাসী দু:শাসনের ছায়ায় গ্রাস হয়ে আছে মন্তব্য করে বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন এই অনাচারকে সর্বনাশা আশকারা দিয়ে যাচ্ছে। সরকারের গণতন্ত্র হত্যার উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্যই এই নির্বাচন কমিশন তার হীন কর্মকাণ্ডের মধ্যদিয়ে গণতন্ত্রকে আগেই শয্যাশায়ী ও মরণাপন্ন করেছে।’
‘দেশের নিয়ন্ত্রণ এখন অপরাধীদের হাতে’- মন্তব্য করে রিজভী বলেন, ‘উদগ্র ক্ষমতালোভ, জনগণের প্রতি অমানবিক অবজ্ঞা আর রক্তাক্ত সন্ত্রাসের পথই হচ্ছে বর্তমান অবৈধ শাসকগোষ্ঠীর রাষ্ট্র পরিচালনার অনুসৃত পথ। যার কারণে গণতন্ত্র এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এক বর্বর হিংসাযুদ্ধে লিপ্ত।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবসুদ সালাম আজাদ, বিএনপি নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব প্রমুখ।