চমকে দেওয়া এই তথ্য দিয়েছে নাসার এলআরও মহাকাশযান। ৬ বছর ধরে মহাকাশে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এই সিদ্ধান্তে এসেছে এলআরও। নাসার মতে, এর পিছনে কাজ করছে পৃথিবীর অভিকর্ষজ বল। চাঁদ ক্রমশ ছোট হয়ে আসায় তার গায়ে বিভিন্ন ফাটলের জন্ম হয়েছে। আর সেই সমস্ত ফাটল পরীক্ষা করে দেখা যাচ্ছে পৃথিবীর বুকে নিত্য খেলে যাওয়া জোয়ার-ভাঁটাই ক্রমে ছোট করে দিচ্ছে চাঁদকে। তাছাড়া চাঁদের ভিতর ক্রমে ঠাণ্ডা হয়ে আসার দরুণ তার আকারেও পরিবর্তন ঘটছে। ফলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাঁদ আজ ক্ষয়িষ্ণু।
২০০৯-এ এই মহাকাশযানটিকে উৎক্ষেপণ করে নাসা। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল চাঁদের চারপাশে ঘুরে সবিস্তারে তথ্য সংগ্রহ করা। এত দিন ধরে সেই কাজ চালাচ্ছিল এলআরওসি।
বিজ্ঞানীদের তৈরি গাণিতিক মডেল দেখাচ্ছে চাঁদ যখন পৃথিবী থেকে সব চেয়ে দূরে থাকে তখন এই প্রভাব সব থেকে বেড়ে যায়। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, প্রক্রিয়া বেশ সক্রিয়। ফলে এখন অনেক ভাঁজ ও ফাটল তৈরি হচ্ছে। ধীরে ধীরে সঙ্কুচিত হচ্ছে চাঁদ।