[english_date]

কোকেন কেলেঙ্কারিদের কাছ থেকে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য

লন্ডনে অবস্থানরত বকুল মিয়া’ই কোকেনের বিশাল চালান চট্টগ্রাম বন্দরে এনেছে।  আর এসব কোকেন এখানে খালাস করে পুনরায় ইউরোপে পাঠাতে টাকা বিনিয়োগ করেছিলো তার ব্যবসায়িক পার্টনার ভারতে অবস্থানরত রাজু।

খালাস এবং পুনরায় পাচারে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন বকুলের নিকট আত্মীয় মোস্তফা কামাল ও আতিকুর রহমান। গ্রেপ্তারকৃত ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর গোয়েন্দা পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত হয়ে এখন বিদেশে অবস্থানরত দু’জনকে গ্রেপ্তারের জন্য ইন্টারপোল ও স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের সহায়তা চাইতে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেনের চালান আটকের পর থেকে এখন পর্যন্ত তদন্তকারী সংস্থা খালাস প্রক্রিয়া নিয়েই তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে খালাস প্রক্রিয়ার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত চারজনকে। গ্রেপ্তারকৃতদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বলিভিয়া থেকে সিঙ্গাপুর হয়ে কোকেনবাহী কন্টেইনারটি চট্টগ্রাম বন্দরে আসার পর ৩১ মে থেকে শুরু হয় খালাস প্রক্রিয়া।

সিএমপি’র  অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) এস এম তানভীর আরাফাত বলেন, ‘মোস্তফা কামালের এক আত্মীয় লন্ডন থাকে। সে মূলত এটার সঙ্গে জড়িত। তাদের আরেক বন্ধু ভারতে থাকে সে মালামাল খালাসের জন্য কিছু অর্থ প্রদান করে।  এমন কিছু তথ্য আমরা আপাতত পেয়েছি। ‘ গোয়েন্দা পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার কুসুম দেওয়ান জানান, বিদেশে থাকা দু’মূল হোতা বকুল মিয়া ও রাজুকে আটকের জন্য ইন্টারপোল এবং স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের সহায়তা চাইবে নগর গোয়েন্দা পুলিশ।

তিনি বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত, তাদেরকে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসবো। আর দেশের বাইরে যারা আছে তাদেরকে ধরতে বিদেশি যে কোনো সংস্থার সহযোগিতা নেবো। ‘ সূর্যমুখী তেলের চালানটি গত মে মাসে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে।  কোনো রকম ঘোষণা ছাড়া আমদানিকৃত এ পণ্য ছাড় করার সময় গত ৮ জুন কোকেন থাকার অভিযোগে আটকে দেয়া হয়। পরবর্তীতে ঢাকায় উন্নত পরীক্ষার পর সূর্যমুখী তেলের মধ্যে কোকেনের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। এ ব্যাপারে চট্টগ্রামের বন্দর থানায় মাদক আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ