কেউ খেতে পায়না কেউ ফেলে ছড়িয়ে খায়। পৃথিবীর চিত্রটা আজও এক। সদ্য পুতিন সরকারে কর্মকান্ড আরও একবার একথাই প্রমাণ করল। ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার সকালে, নিষেধাজ্ঞা জারি থাকলেও রাশিয়াতে ঢুকেছে পশ্চিম দেশ থেকে আনা একাধিক খাবার। ওই আমদানির পরেই তা জব্দ করতে ধ্বংস করা হয়েছে কয়েক কটি মানুষের খিদে মেটাতে সক্ষম ওই খাবার। ধ্বংস করা খাদ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে শূকরের মাংস, পনির ও দুগ্ধজাত দ্রব্য। বিবিসি সূত্রে খবর, ইউক্রেনের ক্রিমিয়া দখলের পর রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করে পশ্চিম দেশ। পাল্টা ব্যবস্থা হিসাবে রাশিয়া ইউরোপের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এসব নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু খাবার যা ইউরোপ থেকে রাশিয়া আমদানি করে থাকে।
খাদ্য ধ্বংস করা নিয়ে রাশিয়ার সমালোচনা করেছে দেশটির বেশ কয়েকটি সংগঠন। এসব সংগঠন রাশিয়ার গরিব দুস্থদের নিয়ে কাজ করে। তারা খাবারগুলোকে গরিবদের মধ্যে বিনামূল্যে বিলিয়ে দেওয়া হল না কেন সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে। একটি ট্রাক্টর এক ঘণ্টায় ৯ টন চীজ ধ্বংস করেছে। এছাড়া বিভিন্ন শূকরের মাংস বাক্স সমেত ধ্বংস করা হয়েছে। রাশিয়ার ধর্মীয় নেতারা সরকারের এসব কাজকর্মকে পাগলামি আচরণ বলে মন্তব্য করেছে। রাশিয়ার ২ লক্ষ ৮৫ হাজার মানুষ অনলাইনে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে এসব বন্ধ করার আর্জি জানিয়েছেন।