শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার চরসেনসাস চোকদারকান্দি গ্রামে এক কিশোরীকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে সখিপুর থানা পুলিশ একটি পুকুর থেকে ওই কিশোরীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে। নিহত সাবিনা আক্তার (১৮) ওই গ্রামের রব গাজীর মেয়ে। বিয়ের প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় একই গ্রামের কাদির চোকদারের পুত্র কালাম চোকদার ও তার মা শানু বিবি এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে পরিবারের অভিযোগ।
সখিপুর থানা ও নিহতের পরিবার সূত্র জানায়, সখিপুর থানার চরসেনসাস ইউনিয়নের চোকদারকান্দি গ্রামের রব গাজীর মেয়ে সাবিনা (১৮)। একই গ্রামের কাদির চোকদারের পুত্র কালাম চোকদার সাবিনাকে বিয়ে করার জন্য তিন মাস আগে প্রস্তাব পাঠায়। সাবিনার পরিবার বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় কালাম প্রায়ই সাবিনাকে উত্যক্ত করত। সোমবার বিকেল সারে ৫টা হতে সাবিনাকে খুঁজে পাচ্ছিলো না তার পরিবারের সদস্যরা। তাকে না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা গ্রামে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বাড়ির পাশে একটি পুকুরে সাবিনার দেহ ভেসে থাকতে দেখে পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়ে সথিপুর থানা পুলিশ সন্ধ্যা ৭ টার দিকে পুকুর থেকে গলা কাটা অবস্থায় সাবিনার লাশ উদ্ধার করে।
সাবিনার ভাই শাহজাহান গাজী বলেন, কালাম চোকদার আমার বোনকে বিয়ে করার জন্য উত্যক্ত করত। আমরা তার সথে বোনকে বিয়ে দিতে রাজি ছিলাম না। সাড়ে ৫টার দিকে কালামের মা শানু বেগম বাড়ি থেকে সাবিনাকে ডেকে নিয়ে যায়। ও বাড়িতে না ফেরায় আমরা খোঁজাখুঁজি করি। সন্ধ্যার পরে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে ও-কে ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেই। কালাম, শানু ও তাদের সহযোগীরা আমার বোনকে গলা কেটে হত্যা করে পুকুরে ফেলে রেখে গেছে।
চরসেনসাস ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য আবু খায়ের বলেন, সাবিনার ভাই মুঠোফোনে তার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি আমাকে জানায়। তখন গ্রামের মানুষ মিলে তাকে খুঁজতে থাকি। সন্ধ্যার পরে পুলিশ তার গলা কাটা লাশ পুকুর থেকে উদ্ধার করে।
সখিপুর থানার উপ-পরিদর্শক বিজন দাস বলেন, পুকুর থেকে কিশোরীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে কিছু অভিযোগ করা হয়েছে। ওই বিষয়গুলো মাথায় রেখেই আমরা অপরাধীদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছি। থানায় মামলার প্রস্ততি চলছে।