
যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে আন্ধারমানিক নদের ওপর নির্মিত ‘শেখ কামাল সেতু’ এবং সোনাতলা নদের ওপর নির্মিত ‘শেখ জামাল সেতু’।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর পটুয়াখালীর আগামী বৃহস্পতিবার যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করে সেতু দুটি উদ্বোধন করবেন। সেতু দুটি চালু হলে কুয়াকাটার সঙ্গে ঢাকার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হবে।
আন্ধারমানিক নদের ওপর কলাপাড়া-নীলগঞ্জ পয়েন্টে ৮৯১ দশমিক ৭৬ মিটার সেতুটি নির্মাণের জন্য ২০১১ সালের ১২ জুন কার্যাদেশ দেওয়া হয়। ২০১৩ সালের ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে সেতুটি নির্মাণ শেষ হওয়ার কথা ছিল। গত নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সেতুর কাজ শেষ হয়। সেতুটি নির্মাণে ৬৫ কোটি ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে।একই সড়কের হাজীপুর-পুরান মহিপুর পয়েন্টে ৪৮২ মিটার দীর্ঘ শেখ জামাল সেতু নির্মাণের জন্য ২০১২ সালের ৭ মার্চ কার্যাদেশ দেওয়া হয়। গত মাসে সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হয়। এটি নির্মাণে ৪৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।
২০১২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি কলাপাড়া পৌর শহরে জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কলাপাড়া-কুয়াকাটা মহাসড়কে ওই দুটি সেতু ও শিববাড়িয়া নদের ওপর শেখ রাসেল সেতুর নির্মাণকাজের ভিত্তিফলক উন্মোচন করেন। গত ২০ আগস্ট ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি শেখ রাসেল সেতু উদ্বোধন করেন।
কুয়াকাটার হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মো. ওয়াহিদুজ্জামান সোহেল বলেন, ‘কলাপাড়া থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত মাত্র ২২ কিলোমিটার সড়কে তিনটি ফেরি পারাপার এত দিন ছিল পর্যটকদের কাছে চরম বিড়ম্বনার। শেখ কামাল এবং শেখ জামাল সেতু চালু হয়ে গেলে সাধারণ মানুষসহ পর্যটকদের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি লাঘব হবে। কুয়াকাটায় পর্যটকদের সংখ্যাও বহু গুণে বেড়ে যাবে।’
সেতু চালু হলে কুয়াকাটার পর্যটননির্ভর ব্যবসা-বাণিজ্য নতুন করে গতি ফিরে পাবে বলে মনে করছেন অনেকেই। পটুয়াখালিবাসির দীর্ঘদিনের স্বপ্নপূরনের অঙ্গিকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে খুশি সাধারণ জনগণ।