১৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কর্তোয়া-দেয়ালে মাথা ঠুকে মরলো লিভারপুল

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল। এমন দিনেই কিনা চীনের প্রাচীর হয়ে দাঁড়াতে হলো থিবো কর্তোয়াকে! লিভারপুল এই হারটা যেমন মনে রাখবে, মনে রাখবে বেলজিয়ান গোলরক্ষককেও।

তিনি এমন অতিমানবীয় পারফরম্যান্স না দেখালে যে উৎসব হতে পারতো লিভারপুলের ঘরেই। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অনুষ্ঠিত ফাইনালে মোট ২৪টি শট নেয় লিভারপুল, যার ৯টি ছিল লক্ষ্যে।

কখনও ডানে ঝাঁপিয়ে পড়ে কখনও বামে, কখনও বা জায়গায় দাঁড়িয়ে চোখের পলকে- লিভারপুলের লক্ষ্যে নেওয়া সব কটি শটই ঠেকিয়েছেন কর্তোয়া। যার থেকে কমপক্ষে দুই-তিনটি নিশ্চিত গোলের মতো ছিল।

ম্যাচের ১৬ মিনিটের মাথায় মোহামেদ সালাহর ক্লোজ রেঞ্জ শট বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে ফেরান রিয়াল গোলরক্ষক। ২১ মিনিটে সাদিও মানে তো গোলই পেয়ে যাচ্ছিলেন প্রায়, এবারও কর্তোয়ায় বেঁচে যায় রিয়াল। তার হাতে সরানো বল গিয়ে লাগে পোস্টে।

৫৪ মিনিটে আলেকজান্ডার-আর্নল্ডের শট ঝাঁপিয়ে পড়ে এক হাতে বের করে দেন রিয়াল গোলরক্ষক। ৬৪ মিনিটে সালাহর বাঁ পায়ের বুলেট গতির শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ফেরান কর্তোয়া। ৮২ মিনিটে বল পায়ে নিয়ে গিয়ে কর্তোয়াকে একা পেয়ে গিয়েছিলেন মিসরীয় ফরোয়ার্ড।

এবারও অতিমানবীয় এক সেভ করেন রিয়াল গোলরক্ষক। সালাহর ডান পায়ের শট চোখের পলকে এক হাতে কোনোমতে বাইরে বের করে দেন কর্তোয়া। আরও একবার নিশ্চিত বিপদ থেকে বাঁচে রিয়াল।

ম্যাচজুড়ে এমন সব বিপদ থেকে রিয়ালকে কয়েকবার বাঁচিয়েছেন কর্তোয়া। তার ৯ সেভ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে কোনো গোলরক্ষকের সর্বোচ্চ সেভের রেকর্ড (২০০৩-০৪ মৌসুম থেকে)।

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ