রাজধানীর কাকরাইলে এস এ পরিবহনের ভবনে আগুন লাগার পর সেখানে দফায় দফায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে দাহ্য পদার্থ। পরে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগ দেয় সেনা ও নৌ বাহিনীর সদস্যরা। এদিকে আগুন ও বিস্ফেরণের ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, তিনতলা ভবনটির নিচতলা থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়। সোমবার (৯ অক্টোবর) সকাল ১০টার কিছু পর আগুন লাগে। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও থেমে থেমে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে আবারও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় পরিস্থিতি। এ সময় পানির পাশাপাশি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার হয় ফোম, ড্রাই পাউডার।
তবে এমন ঘটনায় কুরিয়ার সার্ভিসে পণ্য পাঠানোর বিষয়ে আরও যাচাই-বাছাইয়ের কথা বলছেন সংশ্লিষ্টরা। কারণ কুরিয়ারে পাঠানো পণ্যের কারণেই আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় বলে জানিয়েছেন তারা।
প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা বলছেন, প্রেরকের তথ্য অনুযায়ী পণ্যের চালান কাটা হয়। এক্ষেত্রে আলাদা করে পাঠানো পণ্য চেক করার ব্যবস্থা নেই।
যদিও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি, তবে ভবনটির নিচতলায় থাকা প্রায় সব পণ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।