সম্মিলিত জাতীয় জোট নয়, সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি (জাপা) থেকে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়া হবে, সম্প্রতি রংপুর সার্কিট হাউজে এমন ঘোষণা দিয়েছেন জাপা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের এ ঘোষণায় ক্ষুব্ধ হয়েছে সম্মিলিত জাতীয় জোটে থাকা ২১টি রাজনৈতিক দল। এ ঘোষণার প্রতিবাদে জোট থেকে বের হয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে তারা।
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় মহাজোট থেকে বের হয়ে যাওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন জাতীয় ইসলামী মহাজোটের চেয়ারম্যান খাজা মহিব উল্ল্যাহ।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতৃত্বাধীন দুই জোটের বাইরে নির্বাচনে বৃহত্তর রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার লক্ষ্যে গত ৭ মে ৫৭টি দল নিয়ে সম্মিলিত জাতীয় জোটের ঘোষণা দেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ।
হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ যেকোনো সময় তাদের ছেড়ে যেতে পারেন, এমন সন্দেহ থেকে ২১টি রাজনৈতিক দল জোট থেকে বেরিয়ে এসেছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন খাজা মহিব উল্ল্যাহ।
খাজা মহিব উল্ল্যাহ বলেন, সম্মিলিত জাতীয় জোটের নেতা হয়েও তিনি (হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ) গত ২২ আগস্ট রংপুর সার্কিট হাউজে সাংবাদিক সম্মেলনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দেন। তাই আমরা সন্দিহান- যেকোনো সময় আমাদেরকে ছেড়ে এরশাদ অন্য জোটে যেতে পারেন। ইতিহাসও তাই বলে। এর পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় মহাজোট থেকে আমাদের ২১ দলের অংশগ্রহণ প্রত্যাহার করলাম।
তিনি আরো বলেন, আমরা হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের আমন্ত্রণে ৫৮ দলের সম্মিলিত জাতীয় জোটে শরিক হয়েছিলাম। কিন্তু তার বক্তব্যের প্রতিবাদে আমরা আর ওই জোটের সঙ্গে নেই।
জাতীয় মহাজোট থেকে বের হয়ে যাওয়া দলগুলো হলো- বাংলাদেশ মানবাধিকার আন্দোলন, বাংলাদেশ ইসলামী লিবারেল পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ জনতা পার্টি (বিজেপি), জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ, ন্যাপ ভাষানী, ওলামা মাশায়েক সমন্বয় পরিষদ, খেলাফত সংগ্রাম পরিষদ, বাংলাদেশ ইসলামী জনকল্যাণ পার্টি, জাতীয় ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ আকিমুদ্দিন মজলিস, শান্তি প্রতিষ্ঠা আন্দোলন, ইসলামী মূল্যবোধ সংরক্ষণ পার্টি, ইসলামী সমাজকল্যাণ আন্দোলন, ইউনাইটেড ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ইত্তেহাদুল মুসলেমীন, বাংলাদেশ লিবারেল পার্টি, খেলাফত বাস্তবায়ন পার্টি, জাতীয় শরিয়াহ আন্দোলন, জামিয়াতুল মুসলেমীন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ইসলামী লিবারেল পার্টির সভাপতি মাওলানা আতাউর রহমান আতিকী, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফেডারেশনের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী, বিজেপির সভাপতি এ এম আনোয়ার শাহ, জাতীয় ইসলামী আন্দোলনের চেয়ারম্যান পীর কুতুবুদ্দিন শাহ প্রমুখ।