মোবাইল নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর বদলের সুবিধা বা এমএনপি সেবা চালু করতে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। এখন নিয়ন্ত্রক সংস্থা এমএনপি লাইসেন্স দেয়ার আনুষ্ঠানিকতা শুরু করতে পারবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব এম. রায়হান আখতার জানান, দেশের বাইরে যাওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী এমএনপির চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছেন। এখন এটি বিটিআরসিতে পাঠানো হবে। তারা এরপর বিটিআরসি এমএনপি সেবার কাজ দিতে নিলামের প্রস্তুতি নেবে।
সূত্র জানায়, একটি নিবন্ধিত বাংলাদেশি বা প্রবাসী বাংলাদেশি মালিকানাধীন কোম্পানি নিলামে অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবে। তবে কোনও বিদেশি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশি কোম্পানির সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে নিলামে অংশগ্রহণ করতে পারবে। তবে ওই বিদেশি কোম্পানির শেয়ারের পরিমাণ হতে পারবে সর্বোচ্চ ৫১ শতাংশ।
এমএনপির চূড়ান্ত হওয়া নীতিমালায় বলা হয়, নিলামে অংশ নিতে হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে এক বা একাধিক দেশে ন্যূনতম তিন বছর এই সেবা দিতে হবে এবং গ্রাহক হতে হবে ১০ মিলিয়ন বা ১ কোটি।
ভয়েস কল ও ইন্টারনেটের উচ্চমূল্য, দুর্বল নেটওয়ার্ক কাভারেজ, নেটওয়ার্ক সমস্যা, ভয়েস কলের নিম্নমান, গ্রাহক সেবার অসন্তুষ্টি মেটাতে এমএনপি সেবা চালুর উদ্যোগ নেয় বিটিআরসি। অন্যদিকে টুজি লাইসেন্স নবায়ন গাইডলাইনেও এমএনপি সেবার উল্লেখ রয়েছে।