লেবাননে আটক সৌদি রাজপুত্র আবদুল মুহসেন বিন ওয়ালিদ বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ এবং আরও নয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে মাদক চোরাচালানের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। খবর আল-জাজিরা।
সোমবার লেবাননের বিচার বিভাগের একটি সূত্র জানায়, ‘দশ ব্যক্তি, যাদের মধ্যে এক সৌদি রাজপুত্রসহ পাঁচ সৌদি নাগরিক রয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে কেপ্টাগন নামক মাদকদ্রব্য চোরাচালানের অভিযোগ আনা হয়েছে।’
গত ২৭ অক্টোবর লেবাননের রাজধানী বৈরুতের রফিক হারিরি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে সৌদি রাজপুত্রের ব্যক্তিগত বিমান থেকে দুই টন মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে লেবানন পুলিশ। বিমানটি থেকে ২৪টি ব্যাগ ও ৮টি স্যুটকেস উদ্ধার করে নিরাপত্তাকর্মীরা, যার প্রতিটি ছিল মাদকদ্রব্য কেপ্টাগনে ভর্তি। বিমানটির পরবর্তী গন্তব্য ছিল সৌদি আরব। এর আগে গত বছরের এপ্রিল মাসে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী বৈরুত বন্দর থেকে প্রায় ১৫ মিলিয়ন কেপ্টাগন ক্যাপসুল আটক করেছিল।
কেপ্টাগন সৌদি আরবের তরুণদের মাঝে বেশ জনপ্রিয় একটি মাদক। এছাড়া সিরিয়ায় সন্ত্রাসীগোষ্ঠী আইএস সদস্যরাও ব্যাপকভাবে কেপ্টাগন সেবন করে থাকে। মাদক সেবনের ফলে তারা একটানা লড়াই করতে সক্ষম হয়। রাত্রিকালীন অভিযান বা গেরিলা যুদ্ধের সময়ও তারা এই মাদক সেবন করে থাকে।
১৯৬০ সালে হতাশা ও তন্দ্রাচ্ছন্নতার অসুধ হিসেবে প্রথম কেপ্টাগন উৎপাদন শুরু হয়। কিন্তু অতিরিক্ত নেশাগ্রস্থতার কারণে ১৯৮০ সালে অসুধটিকে নিষিদ্ধ করা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই কেপ্টাগন সেবনের পর একজন মাদকসেবী প্রথমদিকে নিজের ভেতর উদ্দীপনা অনুভব করে। কোনো খাবার না খেয়ে, দীর্ঘ সময় নির্ঘুম থেকে বিরতিহীনভাবে কথা বলে যেতে পারে। অথবা অন্যকোনো কাজ বিরতিহীনভাবে করে যেতে পারে। কিন্তু এ মাদক চূড়ান্তভাবে একজন মানুষের জীবনীশক্তিকে ধ্বংস করে দেয়, তাকে মাদকের ওপর নির্ভরশীল করে তোলে।