৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

এবার নিজের মৃত্যু কামনা করলেন এমাজউদ্দীন আহমদ

এবার নিজের মৃত্যু কামনা করলেন এমাজউদ্দীন আহমদবিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ারের মুক্তি দাবি করে বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে, সেটি মানায় না। আমার বিরুদ্ধে যদি কেউ এমন অভিযোগ করে, এর আগে আমি আমার মৃত্যু কামনা করব।’

বুধবার দুপুরে তিনি আক্ষেপ করে বলেছেন, ‘আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ৭০টি মামলায় মুক্ত হওয়ার পরও আরেকটি মামলা তার ঘাড়ের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা কোনো সভ্য দেশে হতে পারে না।’

তিনি আরো বলেন, মাহমুদুর রহমান যদি এতই অন্যায় করে থাকেন, তাহলে তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মেরে ফেলা হোক। জামিনের পর তার মুক্তি পওয়ার কথা ছিল, হচ্ছে না। এর পিছনে কিছু একটা ষড়যন্ত্র হচ্ছে।[ad id=”28167″]

জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত আলোচনা সভায় দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের প্রাক্তন এ উপাচার্য বলেন, কেউ অন্যায় করলে তার জন্য আইন, বিচার বিভাগ আছে।

কিন্তু রাজনৈতিক বিরোধী মতাদর্শের জন্য রাজনীতির জন্ম হয়নি। এগুলো অগ্রহণযোগ্য, সুনীতির সঙ্গে যায় না, উন্নত মনের সঙ্গে মানায় না।

কাউন্সিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন,  সামনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির জাতীয় কাউন্সিল হবে। এটা ভাল কথা। কাউন্সিল হলে দলগুলোর মধ্যে নতুন শক্তি সঞ্চার হবে। নেতৃত্বে নতুনত্ব আসবে। তাদের সবার মানসিকতার পরিবর্তন আসবে।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচরপতিকে অনুরোধ জানিয়ে এ রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলেন, ‘কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবার আগে যারা কারাগারে আছেন, তাদের মুক্তির ব্যবস্থা করুন।’

নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আগে সব থেকে বেশি প্রয়োজন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা। তাতে আপনারা ব্যর্থ।’

ভারতের নির্বাচন কমিশনকে অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, কয়েক ধাপে নির্বাচন হলেও ফলাফল একই দিনে দেওয়া উচিত। এতে আন্তর্জাতিক মাণদণ্ড বজায় থাকবে। ভারতে কয়েক দিনে নির্বাচন হলেও ফলাফল একদিনে প্রকাশ করা হয়। এমন ব্যবস্থা না করলে সংঘাত অনিবার্য।

এম কে আনোয়ার, মির্জা আব্বাস, মাহমুদুর রহমান, শওকত মাহমুদসহ বিশিষ্ট নাগরিকদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে নাগরিক প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সামবেশে আরো বক্তব্য রোখেন স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের রহমত উল্লাহ, কল্যাণ পার্টির নেতা সাইদুর রহমান তামান্না, ওলামা দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ