২রা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

এখনই সময়, বাংলাদেশ মিয়ানমার সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে ভাবার

প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার। বাংলাদেশের সাথে রয়েছে স্বল্প সীমান্ত এলাকা। তারপরও আলোচিত-সমালোচিত। মাদক চোরাচালান, অস্ত্র পাচার, ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিজিবির কঠোর অবস্থান অপরদিকে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ বিজিপি’র আগ্রাসী মনোভাব। বিজিবির মহাপরিচালক বলছেন সম্প্রতি স্থল সীমান্ত চুক্তি মেনে চলতে সম্মত হয়েছে বিজিবি ও বিজিপি। আর বিশ্লেষকের মতে সময় এসেছে বাংলাদেশ মিয়ানমার সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে ভাবার। 

মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের ২৬১ কি.মি এর যে সামান্য সীমান্তভুমি রয়েছে তা নানা বিবেচনায় জটিল। সীমান্তটির একটি অংশ ডাঙা, অপর অংশ নাফ নদীর জলসীমা দিয়ে চিহ্নিত। আবার রয়েছে উপকুল ঘেঁষা সমুদ্রসীমাও। অন্যদিকে এই সীমান্ত দিয়ে জাতিগত সংঘাত ও রাষ্ট্রীয় সহিংসতার শিকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী প্রাণ বাঁচাতে চলে আসে বাংলাদেশে। এ সীমান্তে বহুমাত্রিক জটিলতা কি আকার ধারণ করেছে তার শেষ উদাহরণ নায়েক রাজ্জাকের অপহরণ। সীমান্ত সমস্যা সমাধানের একেবারে প্রাথমিক পদ্ধতি পতাকা বৈঠকে ২৫ জুন বিজিবি ও বিজিপি উভয়ই স্থল সীমান্ত চুক্তি ১৯৮০ মেনে চলতে একমত হন, জানালেন বিজিবি মহাপরিচালক।

বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, ‘মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের ১৯৮০ সালের যে স্থল সীমান্ত চুক্তি আছে, তার ভিত্তিতেই উভয়পক্ষ সম্মত হয়েছে। কেউ কারো সীমান্ত অতিক্রম করতে চাইলে আগে থেকেই তথ্য দিতে হবে।’ মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক বৈরিতাপূর্ণ না হলেও তা সুপ্রতিবেশীসুলভও নয় বলে মনে করেন এই নিরাপত্তা বিশ্লেষক।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক বি.জে.আব্দুর রশিদ জানান, ‘মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের তেমন কোন বৈরিতা নেই, যা নিয়ে সংঘর্ষ হতে পারে। মাদক চোরাচালান নিয়ে প্রায় সময়ই উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। সীমান্তে যেসব ঘটনা মিয়ানমার ঘটায় তা স্বীকার করে না তারা।’ কানেকটিভিটি, জ্বালানি, কৃষি, বিনিয়োগ ও ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে মিয়ানমার বাংলাদেশের জন্য সম্ভাবনাময়। তাই নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন সবার আগে দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে আস্থার মধ্যে আসতে হবে।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ