[english_date]

এক লাখ টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল কিনতে যাচ্ছে সরকার

সরকার টু সরকার (জিটুজি) পর্যায়ে ভারত থেকে এক লাখ টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল কিনতে যাচ্ছে সরকার। প্রতি টন চালের দাম পড়ছে ৪৫৫ ডলার। সব মিলিয়ে চাল কিনতে লাগছে ৩৭৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। সচিবালয়ে .মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত আজকের সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে ভারত থেকে এক লাখ টন চাল কেনার প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উঠবে। অনুমোদন মিললেই এলসি খোলা হবে। এলসি খোলার ৩০ দিনের মধ্যে ভারত চালের প্রথম শিপমেন্ট দেবে।

এরপর ৬০ দিনের মধ্যে পুরো চাল সরবরাহের নিশ্চয়তা দিয়েছে তারা। খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছরের ১২ই মে ভারতের সরকারি এন্টারপ্রাইজ পিইসি লিমিটেড বাংলাদেশে সিদ্ধ ও আতপ চাল রপ্তানির জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে চিঠি দেয়। এর ভিত্তিতে ৩১শে মে ভারত থেকে পাঁচ লাখ টন চাল আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করে খাদ্য মন্ত্রণালয় নয়াদিল্লিস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে চাল আমদানির উদ্যোগ নিতে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করা হয়। এরপর ১৬ ও ১৭ই জুলাই ভারতের পিইসি লিমিটেডের দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল এবং বাংলাদেশের জিটুজি পদ্ধতিতে ক্রয় কমিটির মধ্যে আলোচনা ও নেগোসিয়েশন সভা অনুষ্ঠিত হয়। পিইসি’র প্রতিনিধি দল দুই লাখ টন সিদ্ধ চাল প্রতি টন ৪৯৫ ডলারে সরবরাহ করতে পারবে বলে বাংলাদেশ সরকারকে জানায়। বিপরীতে বাংলাদেশ পক্ষ প্রতি টন ৪২৫ ডলার দিতে সম্মত হয়। দুই পক্ষই এ অফার ভ্যালিডিটি ১৮ই জুলাই পর্যন্ত ধার্য করে এগ্রিড মিনিটস অফ দ্য মিটিং স্বাক্ষরিত হয়। তবে টনপ্রতি চালের দাম বেশি হওয়ায় ভারতের পিইসি লিমিটেডের প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি খাদ্য মন্ত্রণালয়। এদিকে ২১শে সেপ্টেম্বর ভারতের পিইসি লিমিটেড পুনরায় চাল রপ্তানির আগ্রহ প্রকাশ করে বাংলাদেশ সরকারকে চিঠি দেয়। ওই চিঠির ভিত্তিতে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে নয়াদিল্লিস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার জন্য চিঠি দেয়া হয়। ওই চিঠিতে পিইসি কর্তৃপক্ষকে ৩রা অক্টোবর বা সুবিধাজনক সময়ে আলোচনা বা নেগোসিয়েশনের জন্য বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানানো হয়। আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ভারতের এক সদস্যের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে আসে। ৫ই অক্টোবর পিইসি’র প্রতিনিধি দলের সঙ্গে জিটুজি পদ্ধতিতে ক্রয় কমিটির সঙ্গে সভা অনুষ্ঠিত হয়। দুই পক্ষের আলোচনায় এক লাখ টন সিদ্ধ চাল টনপ্রতি ৪৫৫ ডলার দরে সরবরাহের সম্মতি দিয়ে এগ্রিড মিনিটস অফ দ্য মিটিং স্বাক্ষর হয়। এর ভিত্তিতেই চাল আমদানির প্রস্তাবটি অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে আলোচনার জন্য উঠছে।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ