[english_date]

একসঙ্গে এতো চ্যালেঞ্জ দেশের অর্থনীতি আগে কখনো দেখেনি: সিপিডি

সিপিডির বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, আগেও অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল। বাংলাদেশ সেগুলো ভালোভাবে মোকাবিলা করেছে। কিন্তু বর্তমানে অনেক চ্যালেঞ্জ একসঙ্গে যুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি একসঙ্গে এত চ্যালেঞ্জ আগে কখনো দেখিনি।

শনিবার ধানমন্ডিতে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি ২০২৩-২৪: চলমান সংকট ও করণীয়’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। করোনাপরবর্তী সময়ে ঘুরে দাঁড়ানোর যে চেষ্টা করা হয়েছিল, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সেটি সম্ভব হয়নি। এ কারণে আমাদের অর্থনীতিতে বেশ চাপ রয়েছে।

যেসব ক্ষেত্রে অর্থনীতির চাপ ঘনীভূত হচ্ছে, সেগুলো হলো— রাজস্ব আহরণের ধীরগতি, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ঊর্ধ্বগতি, ব্যাংকের তারল্য সংকট, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়া।

‘বাংলাদেশের অর্থনীতি ২০২৩-২৪: চলমান সংকট ও করণীয়’ শিরোনামের ব্রিফিংয়ে সিপিডি বলেছে, উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিম্নআয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা খেয়ে ফেলছে। বাজার কারসাজি ও সিন্ডিকেট পরিস্থিতিকে আরও জটিল করছে। অর্থনীতি এখন বহুবিধ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে এবং সত্যিকার অর্থে একটি সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। একমাত্র আশা, নীতিনির্ধারকরা এটি বুঝবেন এবং স্বীকার করবেন যে, গতানুগতিক পন্থায় কাজ হবে না। কেবল নিঃস্বার্থ শক্তিশালী রাজনৈতিক নেতৃত্ব সংস্কারের কঠিন পথে যেতে পারে এবং অর্থনীতিকে উদ্ধার করতে পারে।

সিপিডির মতে, ব্যাংক ঋণখেলাপি এবং যারা অবৈধ আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

সিপিডি বলছে, ঋণের ফাঁদ তৈরি হয়েছে।

অভ্যন্তরীণ যে আয় হচ্ছে, তা সরকার পরিচালনায় ব্যয় হচ্ছে। আর ঋণের টাকায় বাস্তবায়ন হচ্ছে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)। মূল্যস্ফীতি ও মুদ্রা ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলার কারণে অর্থনীতিতে চাপ তৈরি হয়েছে। রাজস্ব আহরণ কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় হচ্ছে না। ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটির কারণে মানুষের কষ্ট বাড়ছে।

সিপিডি জানায়, উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিম্নআয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কেড়ে নিচ্ছে। বাজার পরিস্থিতি আরও উসকে দিচ্ছে সিন্ডিকেট।

প্রতিবেদনে বলা হয়, অর্থনীতি অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যা কমে যাওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না, এমনকি নির্বাচনের পরও না। নীতিনির্ধারকদের প্রধান কাজ হওয়া উচিত বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করা।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ