ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী দল উলফার নেতা অনুপ চেটিয়াকে হস্তান্তরের পর দুয়ার খুললো নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়ার। চলতি সপ্তাহেই নূর হোসেনকে দেশে ফিরিয়ে আনা হতে পারে বলে সরকারি সূত্রে জানা গেছে।
প্রায় ১৮ বছর ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন কারাগারে আটক থাকার পর অনুপ চেটিয়া ও তার দুই সহযোগীকে মঙ্গলবার রাতে ভারতের কাছে হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ। কাশিমপুর কারাগার থেকে ভারতীয় দূতাবাস কর্মকর্তা জে পি সিং’এর হাতে তুলে দেয়া হয় অনুপ চেটিয়াকে।
অনেক দিন ধরে শোনা যাচ্ছে, ভারত অনুপ চেটিয়ার বিনিময়ে নূর হোসেনকে ফেরত দেবে। তাছাড়া গত ১৬ অক্টোবর ভারতের আদালত নূর হোসেনকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশও দিয়েছে। আদালতের রায় শোনার পরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও নূর হোসেনকে আনার যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এ সম্পর্কে বলেন, নূর হোসেনকে ফেরত আনতে আমরা প্রস্তুত হয়ে আছি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যখনই আমাদের জানাবে তখনই তাকে আনতে চলে যাবে আমার টিম।
প্রশাসনের সূত্রগুলো বলছে, নূর হোসেনকে পুলিশ পেট্রাপোল সীমান্তে নিয়ে গিয়ে প্রথমে বিএসএফের হাতে তুলে দেবে, তারপরে তারা তাকে বিজিবি’র হাতে তুলে দেবে।
নূর হোসেন ও তার দুই সঙ্গীকে গত বছর ১৪ জুন কলকাতা বিমানবন্দরের কাছে কৈখালি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারপর তিনি দমদম কেন্দ্রীয় কারাগারেই বন্দী ছিলেন। তবে তার এক সঙ্গী, খান সুমন, জামিনে ছাড়া পাওয়ার পরে পালিয়ে যান এবং তার নামে পরোয়ানা জারি হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল অপহরণ করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় করা দুটি মামলার প্রধান আসামি কাউন্সিলর নূর হোসেন ঘটনার পরপরই ভারতে পালিয়ে যান। এরপর কলকাতা শহরের অদূরে বাগুইহাটি নামের একটি আবাসনে আশ্রয় নেন। সেখান থেকে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। অবৈধভাবে ভারতে অবস্থানের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়