আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের দেয়া ঋণের শর্ত অনুযায়ী যেসব সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে, সে বিষয়ে সংস্থাটির প্রতিনিধিদের অবহিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া যেসব শর্ত বাংলাদেশ পূরণ করতে পারেনি, তার কারণও ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
বুধবার (৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এ কথা জানিয়েছেন ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক।
তিনি জানান, আইএমএফ প্রতিনিধিদের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি পর্যালোচনা বৈঠক হয়েছে। ঋণের শর্ত অনুযায়ী যেসব সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে, বৈঠকে সে বিষয়ে তাদের অবহিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর যেসব শর্ত পূরণ করতে পারেনি, তার কারণ ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসে। তাদের সঙ্গে সরকারের বিভিন্ন বিভাগ ও সংস্থার সঙ্গে আজ থেকে আলোচনা শুরু করছে। মূলত আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণের শর্ত বাংলাদেশ কতটা পূরণ করতে পেরেছে এবং সরকারি বিভাগগুলো শর্ত পূরণে কী ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে, সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা হবে।
প্রসঙ্গত, আইএমএফের এশিয়া-প্যাসিফিক বিভাগের প্রধান রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে আগামী ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত সংস্থাটির এ পর্যালোচনা মিশন বাংলাদেশে অবস্থান করবে। দ্বিতীয় কিস্তি ঋণ ছাড়ের আগে শর্ত পরিপালন হচ্ছে কি না, তা পর্যালোচনা করতেই আইএমএফের এবারের সফর।
নভেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে আইএমএফের শর্ত ছিল, সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের রিজার্ভ থাকতে হবে ২৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি। কিন্তু বাংলাদেশের রিজার্ভ সেপ্টেম্বরে ছিল ২১.১৫ বিলিয়ন ডলার।